জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: যেতে চেয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। কিন্তু, রাজ্য প্রশাসনের তাতে সায় ছিল না। কাজেই, সে দিন আর আসানসোল-রানিগঞ্জের অশান্ত এলাকা দেখতে যাওয়া হয়নি রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর। তবে, দু’দিনের মাথায় শনিবার তিনি পৌঁছলেন আসানসোলে। সেখান থেকে যান রানিগঞ্জেও।
এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আসানসোল পৌঁছন রাজ্যপাল। সেখানকার চাঁদমারি, কল্যাণপুরের পাশাপাশি কয়েকটি অশান্ত জায়গা দেখতে যান রাজ্যপাল। গত কয়েক দিন ধরেই ওই এলাকাগুলি অশান্ত হয়ে রয়েছে। দুর্গত এলাকা ঘুরে রাজ্যপাল সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকের পর রাজ্যপাল রানিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানেও তিনি কয়েকটি অশান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। রাজ্যপাল সকলের উদ্দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আমি এখানে আগেই আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, আসতে পারিনি। আজ এলাম। বেশ কয়েকটি জায়গায় গিয়েছি। আমি আসলে শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি। এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই শান্তি ফিরিয়ে আনুন।’’
গত সোমবার থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষে তেতে রয়েছে আসানসোল, রানিগঞ্জে। ওই দিন অর্থাৎ ২৬ মার্চ রানিগঞ্জের বড়বাজারে সংঘর্ষ হয়। সেই সময় শ’খানেক দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। করা হয়েছিল লুঠপাটও। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সেই অশান্তি দূরে সরিয়ে ধীরে ধীরে সান্ত হয়ে উঠছে এলাকা।
রাজ্যের ২০টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন
পরিস্থিতি সামলাতে নেট পরিষেবার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। আগামী সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত অশান্ত এলাকায় নেট পরিষেবা মিলবে না। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে এ দিন শোভাযাত্রা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আখড়া কমিটিগুলি। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
এ দিন অশান্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। কিন্তু, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর কালনা মোড়েই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। তাঁদের আর যাওয়া হয়নি।
রাজ্যপালের আসানসোল-রানিগঞ্জ সফর নিয়ে এ দিন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, রাজ্যপালের যাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা কখনই কোনও আপত্তি তোলেননি। রাজ্যপাল যেখানে ইচ্ছে সেখানে যেতেই পারেন বলে মন্তব্য তাঁর। সফরে গিয়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে রাজ্যপাল দেখা করেছেন। এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে পার্থ জানান, বিজেপির নেতারা রাজ্যপালের সঙ্গে এক এক বার দেখা করেন, আর তিনি এক একটা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন। এমনটাই হয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।