বিজ্ঞাপন

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের কাছে চেয়ে পাঠাল রিপোর্ট

বিজ্ঞাপন

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক:  পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল-রানিগঞ্জ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, বিশেষ দল গঠন করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

গত ২৫ মার্চ থেকে আসানসোল-রানিগঞ্জ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত ছিল। তা নিয়ন্ত্রণে আনতে দিনকয়েক যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল প্রশাসনকে। এমনকী, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উপযুক্ত নয় বলে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকেও ওই এলাকায় যেতে বারণ করেছিল নবান্ন। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ঘটনার রিপোর্ট রাজ্যের কাছে চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট এবং টেলিভিশ ফুটেজ থেকে কমিশন জানতে পেরেছে, ওই অশান্তির ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। এমনকী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে হাতে বোমা লেগে গুরুতর জখম হয়েছে ডিসি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক। পাশাপাশি, আক্রান্তদের কেউ কেউ জরুরি ভিত্তিক ১০০তে ডায়াল করেসাহায্যের আর্জি জানালেও পুলিশের সাহাযা পা‌ননি। এই পরিস্থিতিতে কমিশনের নির্দেশ, বরিষ্ঠ কোনও পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল গঠন করা হোক। সেই দল এলাকায় গিয়ে সব দিক খতিয়ে দেখে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাক কমিশনকে।

ওরা ফিরল, কিন্তু কফিনবন্দি হয়ে

সরকারি ভাবে যদিও জাতীয় মানবাধিকার কমিশ‌নের এই রিপোর্ট চাওয়া নিয়ে নবান্ন থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। ৭০-৮০ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

তা হলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ মানা হবে না? তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি নবান্ন।

রাম নবমীকে কেন্দ্র করে গত মাসের শেষ সপ্তাহে অশান্ত হয়ে ওঠে আসানসোল-রানিগঞ্জের বিস্তীর্ণ অংশ। দোকানপাট ভাঙচুর, আগুন লাগানো, লুঠপাট— সবই হয়। এর মধ্যেই ওই এলাকায় গত শনিবার গিয়েছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তিনি বৃহস্পতিবার যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নবান্ন তাতে সায় দেয়নি। এর পর শনিবার কেশরীনাথ দুর্গত এলাকা ঘুরে জানান, তিনি সেখানে শান্তির বার্তা নিয়ে গিয়েছেন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ যেন ভাল থাকেন। শান্তিতে থাকেন। এই বার্তাই তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে, এ দিনের এই রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো নবান্নের জন্য একটা ধাক্কা বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের অনেকে।

0
0

This post was last modified on April 3, 2018 9:02 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন