বিজ্ঞাপন

অজন্তা লিখলেন জাগো বাংলায়, তৃণমূল মুখপত্রে অনিল-কন্যার নিবন্ধ

অজন্তা লিখলেন জাগো বাংলায়, তৃণমূল মুখপত্রে অনিল-কন্যার নিবন্ধ প্রকাশে শোরগোল বেধেছে বঙ্গ সিপিএমে। তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অজন্তা লিখলেন জাগো বাংলায়, তৃণমূল মুখপত্রে অনিল-কন্যার নিবন্ধ প্রকাশে শোরগোল বেধেছে বঙ্গ সিপিএমে। তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা। গত ২১ জুলাই থেকে সেটি দৈনিক প্রকাশিত হচ্ছে। বুধবার সেই মুখপত্রের সম্পাদকীয় পাতায় উত্তর সম্পাদকীয় কলম লিখেছেন সিপিএমের প্রয়াত নেতা অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস। অজন্তা লিখলেন জাগো বাংলায়, নিবন্ধের শিরোনাম বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি। তবে সেই অর্থে রাজনৈতিক নিবন্ধ নয় এটি। বুধবার প্রথম কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশ পাবে দ্বিতীয় কিস্তি। কিন্তু অনিল-কন্যা অজন্তা লিখলেন জাগো বাংলায়, তৃণমূলের মুখপত্রে! সকাল থেকে এই বিস্ময়ই ঠিকরে বেরোচ্ছে বাংলার রাজনীতির আঙিনা থেকে।

অজন্তা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে কখনওই তেমন ভাবে যুক্ত ছিলেন না। এই মুহূর্তে তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্বাবিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক। জাগো বাংলায় তাঁর লেখার সঙ্গে যে পরিচিতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে এই পরিচয়ই লেখা। শিরোনাম ও মুখবন্ধের পর তাঁর নাম লেখা ডঃ অজন্তা বিশ্বাস। মুখবন্ধের শুরুতেই লেখা বাসন্তীদেবী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লেখার শিরোনামের উপরে লেখা হয়েছে, প্রাক্ স্বাধীনতা পর্ব থেকে সাম্প্রতিককালের ইতিহাসের চালচিত্রে বাঙালি মহিলাদের অবদান।

সেই অবদানের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম এসেছে। অজন্তা তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়ান। ইতিহাসের অধ্যাপক হিসাবেই তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় নারীশক্তির আন্দোলন এবং তাঁদের অবদানের ইতিহাসের কথা লিখেছেন। তাঁর লেখায় নাম এসেছে বাসন্তীদেবীর সঙ্গেই ঊর্মিলাদেবী, সুনীতিদেবী, সরোজিনী নাইডু, মোহিনী দাশগুপ্তদের। প্রথম কিস্তিতে কোথাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেই। তবে বৃহস্পতিবারের লেখায় মমতার নাম থাকতে পারে। কারণ, এ দিনের লেখার মুখবন্ধের শুরুতেই লেখা বাসন্তীদেবী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অজন্তা প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রী ছিলেন। কলেজ জীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনওই সে ভাবে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আসেননি। মূলত লেখাপড়া এবং অধ্যাপনা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন। তার পরে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপনায়। সেই অধ্যাপনার সূত্রেই জাগো বাংলায় তাঁর এই উত্তর সম্পাদকীয়। কিন্তু অজন্তার বাবার নাম যে হেতু অনিল বিশ্বাস, সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা— তাই লেই অজন্তা যখন প্রতিপক্ষ শিবিরের মুখপত্রে লেখেন তখন কৌতূহল এবং প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসাটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে এ দিন সিপিমএর তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এমনকি আলিমুদ্দিন থেকে এই ব্ষয়ে সমস্ত স্তরের নেতাকে কোনও মন্তব্য করতে বারণ করা হয়েছে বলেও কোনও কোনও সূত্রকে উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যম খবর করেছে।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on July 29, 2021 2:29 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন