বিজ্ঞাপন

এনআরএস-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, বিক্ষোভে অনড় ডাক্তাররা

এনআরএস-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কার্যত কোনও কাজে এল না। এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন, তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠল।
বিজ্ঞাপন

এনআরএস-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এনআরএস-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কার্যত কোনও কাজে এল না। বরং বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যা বললেন, তাতে রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠল।

নিজেদের বিক্ষোভে অনড় রইলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসক এমনকি নার্সরাও। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে উঠেছে যে, এ রাতেই ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন এনআরএসের প্রিন্সিপাল এবং সুপারও।

এ দিন দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোনে ডাক্তারদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলেন। অত্যন্ত চড়া সুরে তিনি আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বার্তা দেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘চার দিন ধরে রোগী পড়ে আছে। কয়েক জন মিলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমার মন্ত্রী গিয়েছেন, পুলিশ কমিশনার গিয়েছেন। কথা বলার পরেও চিকিৎসা হচ্ছে না। এর থেকে দুর্ভাগ্য কিছু হতে পারে না।’’

আরও পড়তে…
বিজেপির লালবাজার অভিযান, পুলিশ থামাল জল-কামান, কাঁদানে গ্যাসে

মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নন বলেও মন্তব্য করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘ সব আউটসাইডার।’’ চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে সরকারি সকল সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিতে শোনা যায় তাঁকে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ না দিলে তাঁদের আর হস্টেলে থাকতে দেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে যেন আগুনে ঘি পড়ে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ‘‘আমরা তো শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীকে এখানে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানিয়েছিলাম। তিনি উল্টে আমাদের হুমকি দিলেন। অসম্মান করলেন।’’ তাঁর এমন ভূমিকায় চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ ক্ষুব্ধ।

এমন পরিস্থিতি সামালাতে না পেরে এ দিনই সন্ধ্যায় ইস্তফা দিয়েছেন এনআরএসের প্রিন্সিপাল শৈবাল মুখোপাধ্যায় ও সুপার সৌরভ চট্টোপাধ্যায়। পানিহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ইস্তফা দিয়েছে প্রায় ১৪ জন চিকিৎসক। এমনটাই আন্দোলনকারীদের দাবি।

সিনিয়র চিকিৎসকদের একটা অংশের মতে, জুনিয়র ডাক্তারদের বহিরাগত অ্যাখ্যা দেওয়া, তাঁদের হস্টেল ছেড়ে চলে যেতে বলা, তাঁদের রাজনৈতিক দলের কর্মী তকমা দেওয়া— এ সব করে ঠিক কাজ করেননি মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিনই রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিরেক্টর, প্রিন্সিপাল ও সুপারকে পাঠানো এক নির্দেশে অবিলম্বে আউটডোর এবং জরুরি বিভাগে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু করার কথা বলেছেন। সেই কাজে কেউ বাধা দিলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on June 14, 2019 2:11 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন