বিজ্ঞাপন

অমিত আগরওয়াল কি ছেলেকে না পেয়েই এমন কাণ্ড ঘটালেন

অমিত আগরওয়াল কি ছেলেকে না পেয়েই এমন কাণ্ড ঘটালেন? প্রশ্নটা তুলছে তাঁরই লেখা ৬৭ পাতার সুইসাইড নোট, যাতে রয়েছে শ্বশুরবাড়ির প্রতি তীব্র ক্ষোভ।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: অমিত আগরওয়াল কি ছেলেকে না পেয়েই এমন কাণ্ড ঘটালেন? প্রশ্নটা তুলছে তাঁরই লেখা ৬৭ পাতার সুইসাইড নোট। যে নোটের প্রতিটি লাইনে রয়েছে শ্বশুরবাড়ির প্রতি তীব্র ক্ষোভ। সোমবারই স্ত্রী-শাশুড়িকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন অমিত আগরওয়াল ।

অমিত আগরওয়াল পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। ফুলবাগানের একটি অভিজাত আবাসনে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। সোমবার বিকেলে সেখানে গিয়ে তিনি গুলি করে খুন করেন তাঁর শাশুড়ি ললিতা ঢনঢনিয়াকে। শ্বশুর সুভাষ ঝনঢনিয়া কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন। এর পর ওই ঘরেই আত্মঘাতী হন বছর বিয়াল্লিশের অমিত।

তদন্তে জানা গিয়েছে, অমিত একটি সেভেন এমএম পিস্তল ব্যবহার করেছিলেন। ঘটনাস্থলেই পাওয়া গিয়েছে সেটি। পুলিশ জেনেছে, সোমবার ফ্ল্যাটে ঢুকেই শ্বশুর ও শাশুড়ির সঙ্গে বচসা শুরু করে অমিত। কিন্ছু ক্ষণ পর তিনি পিস্তল বার করে শাশুড়িকে গুলি করেন। তিনি মেঝেতে পড়ে যান। ফের গুলি চালাতে গেলে পিস্তলে  সমস্যা দেখা দেয়। সেই সুযোগে তাঁর শ্বশুর সুভাষ ঢনঢনিয়া পাশের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে পড়শিদের ফ্ল্যাটে চলে যান। পড়শিরাই খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে দরজা খুলে দেখে, অমিতও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।

(বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

তার দেহের পাশেই বেশ কয়েক পাতার সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। সেখান থেকেই পুলিশ জানতে পারে, অমিত  আগরওয়াল বেঙ্গালুরুতে তাঁর স্ত্রী শিল্পীকে খুন করে এসেছেন। এর পর কলকাতা পুলিশ বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। বেঙ্গালুরু পুলিশ এর পর মহাদেবপুরমে শিল্পীর ফ্ল্যাটে যায়। বন্ধ দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, ফ্ল্যাট পুরো লন্ডভন্ড। শোয়ার ঘরে পাওয়া যায় শিল্পীর মৃতদেহ।

তদন্তে জানা গিয়েছে, অমিত ও শিল্পীর বছর ১৪ আগে বিয়ে হয়। দু’জনেই পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। বিয়ের পরে কিছু দিন তাঁরা কলকাতায় ছিলেন। পরে হায়দরাবাদ হয়ে ফের কলকাতায় আসেন। তার পরে বেঙ্গালুরু চলে যান। বিয়ের পরে শিল্পীর পরিবারের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে অসবিধা হয়েছিল অমিতের। মাঝে এক সময়ে তাঁর চাকরি ছিল না। যার জেরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন অমিত। দু’বছর আগে দু’জনের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকলে বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন করেন তাঁরা। সেই মামলা চলছিল।

আদালতের নির্দেশে শিল্পীই সাময়িক ভাবে ছেলের হেফাজত পেয়েছিলেন। প্রতি রবিবার অমিত ছেলের সঙ্গে দেখা করত। কিন্তু অমিত ছেলেকে কাছে পেতে মরিয়া ছিল। আর তা সম্ভব না হওয়াতেই সোমবার সে ওই কাণ্ড ঘটায় বলে পুলিশের অনুমান।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on June 24, 2020 2:30 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন