বিজ্ঞাপন

Anis khan ‘হত্যা’রহস্য এখনও তিমিরে, আমতার বাড়িতে বিমান-সূর্য

Anis khan ‘হত্যা’রহস্য এখনও তিমিরেই। শুক্রবার উলুবেড়িয়া সংশোধনাগারে অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে গিয়ে কাউকেই চিনতে পারেননি আনিস খানের বাবা সালেম খান।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Anis khan ‘হত্যা’রহস্য এখনও তিমিরেই। শুক্রবার উলুবেড়িয়া সংশোধনাগারে অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে গিয়ে কাউকেই চিনতে পারেননি হাওড়ার নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা সালেম খান। শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআই প্যারেড সেরে বাড়ি ফিরে এমনটাই জানালেন তিনি। দুপুর ৩টে নাগাদ অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে জেলে গিয়ে আনিসের মোবাইল ফোনটি জমা দেন তিনি।

শুক্রবার বিকেলের পরেই আনিসের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিমান ও সূর্যকান্ত। সালেম টিআই প্যারেড সেরে ফিরলে তাঁর সঙ্গে কথা বলে পরিবারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান তাঁরা। টিআই প্যারেডে সালেম যে অভিযুক্তদের চিনতে পারেননি, সে প্রসঙ্গে বিমান বলেন, ‘‘আসল মাথাদের ধরে নিয়ে আসুন, তবে না চিনতে পারবে! আসল মাথারা কোথায়? তাঁদের তো ধরতে হবে। এটাই তো পরিবারের বক্তব্য।’’ বিমান-সূর্যকান্তেরা বেরিয়ে গেলে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও আসেন আনিসের বাড়িতে। তিনিও সালেম ও আনিসের দাদা সাবির খানের সঙ্গে কথা বলেন। আনিসের পরিবারকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন নওশাদ।

আনিস-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে উলুবেড়িয়া আদালত। কলকাতা হাই কোর্টও আনিসের রহস্য-মৃত্যুর মামলা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার টিআই প্যারেডের নির্দেশ দিয়েছে। সেই মতোই শুক্রবার সিট-এর সদস্যদের সঙ্গে উলুবেড়িয়া জেলে গিয়েছিলেন সালেম। ফিরে এসে তিনি জানান, জেলে যে দুই অভিযুক্তকে তাঁর সামনে দাঁড় করানো হয়েছিল, তাঁদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁদের চিনতে পারব, তাঁদের এখানে দেখতে পাইনি।’’

বুধবারও ওই দুই ব্যক্তির গ্রেফতার হওয়ার দিন সালেম জানিয়েছিলেন, অভিযুক্তদের তিনি চিনতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার কাশীনাথ আর প্রীতমকে উলুবেড়িয়া আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সিআইডি-র সদর দফতর ভবানী ভবন থেকে যখন বার করা হয়, সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বলেছিলেন, তাঁরা ওসি-র নির্দেশ পালন করেছেন ঠিকই, কিন্তু ওই রাতে আনিস কী ভাবে মারা গেলেন, তা জানেন না। নিজেদের সম্পূর্ণ নির্দোষ বলেও দাবি করেন ওই দু’জন।

উলুবেড়িয়া জেলে বেশ কিছু ক্ষণ ধরে চলে অভিযুক্তদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে সেখানেই আনিসের মোবাইল ফোনটি জমা দেন সালেম। সূত্রের খবর, এর পর সেটি হায়দরাবাদে পাঠানো হবে। সেখানে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে ওই মোবাইলটির পরীক্ষা করা হবে। মোবাইল পরীক্ষার সময় উপস্থিত থাকবেন ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক সেন্টারের এক জন প্রতিনিধি।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on May 15, 2022 2:09 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন