বিজ্ঞাপন

Gujrati Couple Murder-তিন দিনেই খুনের কিনারা করল পুলিশ

মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পুলিশ ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত। ১ শতাংশ বাকি। ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই সেই ১ শতাংশও নিশ্চিত করে ফেলল কলকাতা পুলিশ (Gujrati Couple Murder)।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পুলিশ ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ১ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া বাকি। ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই সেই ১ শতাংশও নিশ্চিত করে ফেলল কলকাতা পুলিশ (Gujrati Couple Murder)। বৃহস্পতিবার আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে। তবে এই খুন নিয়ে উঠছিল অনেকগুলো প্রশ্ন। সব থেকে বড় প্রশ্ন, এই খুনের পিছনের কারণ নিয়ে। প্রথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ডাকাতির উদ্দেশে এসেই এই খুন। কিন্তু খুনিরা মৃতদের অতিপরিচিত হওয়ার তথ্য সামনে আসাতে তৈরি হয়েছিল ধন্দ। মনে করা হচ্ছিল খুনির সঙ্গে কোনও টাকার লেন-দেনের বিষয় ছিল। আর সেটাই সত্যি হল।

এদিন সিপি বিনীত গোয়েল সাংবাদিক সম্মেলন করে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার কথা ঘোষণা করলেন। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। তদন্তের স্বার্থে তার নাম, পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। যে তিন জন ধরা পড়েছে তারা সকলেই লিলুয়ার বাসিন্দা সুবোধ কুমার সিং, যতীন মেহত ও রত্নাকর নাথকে টাকার লোভ দেখিয়ে দলে টেনেছিল মূল অভিযুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে এই খুনের ছককষা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। নেপথ্যে একলাখ টাকা।

মৃত অশোক শাহ মূল অভিযুক্তের ভাইয়ের কাছে ১ লাখ টাকা পেতেন। কিন্তু কোভিডের সময় সেই ভাইয়ের মৃত্যু হওয়ায় টাকার দায় এসে পড়ে দাদার উপর। কিন্তু সে পুরো টাকাটা দিতে চায়নি। বরং কম টাকায় ব্যাপারটা মেটাতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি হননি অশোক। ঘটনার দিন এই তিন সঙ্গীকে নিয়েই ভবানীপুরে গিয়েছিল অভিযুক্ত। পরিচিত হওয়ায় দরজাও খুলে দেয় শাহ দম্পতি। তার পরই তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খুন করে।

এদিন ভবানীপুর জোড়া খুনে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে মোট তিনজন গ্রেফতার হয়। তার আগে বুধবার সারা রাত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার পরই তাদের বক্তব্যের অসঙ্গতি সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়। সে কারণেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবারই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই দম্পতির মেয়েকে তিনি ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন।

ভবানীপুরের যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে সেটা বেশ জমজমাট জায়গা এবং হাইপ্রোফাইল এলাকাও বটে। তাই এই খুনের তদন্তে কোনও গাফিলতি করছে না কলকাতা পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়, সঙ্গে আত্মীয়দের বয়ান ও দম্পতির নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই তদন্তের অনেক জট খুলে যায়। পুলিশের ধারণা এই খুনের সঙ্গে একাধিক লোক জড়িত রয়েছে। থাকতে পারে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদও। কোনও আত্মীয়ের পরিচিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে নাম উঠছে জামাইয়ের বন্ধুর। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে এখনই সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না পুলিশ।

জানা যাচ্ছে ভবানীপুরে যে বাড়িতে তাঁরা থাকতেন সেই বাড়ির নিজেদের অংশ বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলেন দম্পতি। যার দাম ধার্য করা হয়েছিল ৬০ লাখ টাকা। যিনি এই বাড়িটি কিনবেন বলে ঠিক করেছিলেন তাঁর সঙ্গেও পুলিশ কথা বলেছে। জানা গিয়েছে তিনি ইতিমধ্যেই ১ লাখ টাকার চেক দিয়েছিলেন। এই দম্পতির তিন মেয়ে। ছোট মেয়ের সঙ্গে কথায় পুলিশ জানতে পেরেছে আলমারি থেকে টাকা গায়েব করা হয়েছে। তবে পুলিশের ধারণা ছিল চুরি নিতান্তই আইওয়াশ। স

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle

0
0

This post was last modified on June 9, 2022 3:45 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন