জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলন, অশান্তি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে আটকে রাখা— বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এ সবেরই সাক্ষী ছিল। সাড়ে ছ’ঘণ্টা আটকে থাকা বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
তার আগে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাবুল সুপ্রিয়কে প্রায় সাড়ে ছ’ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্থা করে পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি সামলাতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বাবুলকে। যদিও তিনি পরিস্থিতি সামলাতে পারেননি।
এই সংক্রান্ত আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
শুধু উপাচার্য নন, বাবুলকে উদ্ধার করতে গিয়ে ঘেরাওয়ের মুখে পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনখড়। শেষ অবধি পুলিশ তাঁদের ঘুরপথে ক্যাম্পাস থেকে বার করে।
এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এবিভিপি আয়োজিত আলোচনাচক্র এবং নবীনবরণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বেলা দুটো নাগাদ বাবুল ক্যাম্পাসে পৌঁছন। কিন্তু অডিটোরিয়ামের সামনেই বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠন তাঁকে আটকে দেয়। শুরু হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। বাবুলকে ধাক্কা মারার অভিযোগ ওঠে। তার জামাও ছিঁড়ে যায়।
ঘণ্টা দুয়েক পরে বাবুল কোনও রকমে সভাস্থলে পৌঁছন। কিন্তু সেখান থেকে বেরনোর সময় ফের তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু হয়। এ বার দাবি, ক্ষমা চাইতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।
রাত আটটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রথমে তাঁর কনভয়ও ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। পরে তিনি কোনও রকমে ঢোকেন। গাড়ি থেকে নেমে বাবুলকে তুলে নেন। কিন্তু বাবুল গাড়িতে ওঠামাত্র ছাত্রছাত্রীরা রাজ্যপালের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে রাজ্যপাল রাত সওয়া আটটা নাগাদ বাবুলকে নিয়ে ঘুরপথে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার হন। বাবুলকে নিয়ে রাত সাড়ে আটটার কিছুটা পরে তিনি পৌঁছন রাজভবনে।
এ দিনের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসাধীন। বিভিন্ন মহল থেকে এ দিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
This post was last modified on September 20, 2019 2:34 am