বিজ্ঞাপন

বাড়ির ফ্রিজে দেহ পড়ে দু’দিন, করোনা টেস্ট করিয়ে এসেই মৃত্যু বৃদ্ধের

বাড়ির ফ্রিজে দেহ পড়ে রইল দু’দি‌ন। করোনা টেস্ট করিয়ে ফিরেই মারা গিয়েছিলেন ৭১ বছরের বৃদ্ধ মোহন মল্লিক কিন্তু করোনার উপসর্গ থাকায় ডেথ সার্টিফিকেট পায়নি পরিবার।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বাড়ির ফ্রিজে দেহ পড়ে রইল দু’দি‌ন। করোনা টেস্ট করিয়ে বাড়িতে এসেই মারা গিয়েছিলেন ৭১ বছরের বৃদ্ধ মোহন মল্লিক। কিন্তু করোনার উপসর্গ ছিল বলে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট দিতে রাজি হচ্ছিলেন না কোনও চিকিৎসক। এক দিকে, মোহনবাবুর করোনা রিপোর্ট হাতে পাচ্ছিল না মল্লিক পরিবার। অন্য দিকে, শেষকৃত্যের জন্য প্রতিবেশী থেকে পুরসভা, পুলিশ থেকে স্বাস্থ্য দফতর— সকলের দ্বারস্থ হয়েও কাজ হচ্ছিল না।

এই দুয়ের গেরোয় পড়ে মল্লিক পরিবার মোহনবাবুর দেহ রাখতে চায় পিস হাভেনের মতো জায়গায়। কিন্তু সাময়িক ভাবে দেহ রাখে যারা, তারাও করোনার উপসর্গের কথা শুনে মোহনবাবুর দেহ রাখতে রাজি হয়নি। ফলে একটা বড় ফ্রিজার কিনে তাতেই দু’দিন বৃদ্ধের দেহ রাখতে বাধ্য হয় পরিবার। অবশেষে বুধবার দুপুরে পুরসভার তরফে শেষকৃত্যের জন্য গাড়ি পাঠানো হয়। তত ক্ষণে যদিও মোহনবাবুর করোনা রিপোর্ট এসে গিয়েছে— পজিটিভ।

মোহন মল্লিকের বাড়ি আর্মহার্স্ট স্ট্রিটে। সেখানকার একটি পাঁচতলা আবাসনে তিনি থাকতেন সপরিবারে। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েক দিন ধরে অসুস্থ বোধ করায় মোহনবাবু কয়েক দিন আগে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে যান। করোনার উপসর্গ আছে বলে ওই চিকিৎসক তাঁর করোনা টেস্ট করার পরামর্শ দেন। এর পর গত সোমবার একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট করান মোহনবাবু। টেস্ট করিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেই ওই দিন বিকেলে মারা যান মোহনবাবু।

এর পর তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য স্থানীয় সেই চিকিৎসককে ডেকে আনা হয়। কিন্তু করোনার উপসর্গ ছিল বলে তিনি তা দিতে চাননি। করোনা টেস্ট-এর রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তিনি ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন না জানিয়ে থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন মল্লিক পরিবারকে। থানা এর পর স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। স্বাস্থ্য দফতর যদিও দুই আধিকারিকের নম্বর দিয়ে দায় সারে।

মল্লিক পরিবারের অভিযোগ, ওই দুই আধিকারিকের নম্বরে একাধিক বার ফোন করা সত্ত্বেও কেউ ফোন ধরেননি। তত ক্ষণে দেহে পচন ধরতে শুরু করেছে। মোহন মল্লিকের পরিবার যোগাযোগ করে যেখানে সাময়িক ভাবে দেহ রাখা হয়, সেই সব সংস্থার সঙ্গে। কিন্তু তারাও মৃত ব্যক্তির করোনা উপসর্গ ছিল বলে দেহ রাখতে রাজি হননি। এর পর মল্লিক পরিবার একটি বড় ফ্রিজার ভাড়া করে এনে তাতে মোহনবাবুর দেহ রাখে। দু’দিন সেই দেহ ফ্রিজারেই ছিল।

মঙ্গলবার রাতে ওই বেসরকারি ল্যাব থেকে মোহনবাবুর করোনা টেস্ট-এর রিপোর্ট পাঠায়। জানা যায়, তাঁর করোনা টেস্ট পজিটিভ। এর পর ফের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে মল্লিক পরিবার। সেখান থেকে পুরসভায় খবর যায়। পুর কর্তৃপক্ষ বুধবার দুপুরে গাড়ি পাঠিয়ে মোহনবাবুর দেহ নিয়ে শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করে।

(করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on July 1, 2020 11:01 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন