বিজ্ঞাপন

কোভিড আক্রান্তের সৎকার নিয়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা পরিবারের

কোভিড আক্রান্তের সৎকার করতে প্রান ওষ্ঠাগত পরিবারের লোকদের। এমনটা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে। মৃত্যু হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীর দেহ পড়ে থাকছে বাড়িতে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কোভিড আক্রান্তের সৎকার করতে প্রান ওষ্ঠাগত পরিবারের লোকদের। এমনটা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে। মৃত্যু হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেই কোভিড রোগীর দেহকে আঁকড়ে বাড়িতেই বসে থাকতে হচ্ছে পরিবারের লোকদের। এক তো প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণা সঙ্গে তাঁর সৎকার না করতে পারার কষ্ট। সব মিলে সত্যিই ভয়ঙ্কর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মানুষ। সোমবার আরও একবার এই ঘটনা উঠে এল খোদ কলকাতা শহরে।

১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাড়িতেই পড়ে থাকল দেহ। প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর কাউকে জানিয়েই কোনও কাজ হয়নি। সৎকারের ব্যবস্থা করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। শববাহী গাড়ির খোঁজ মিললেও চাওয়া হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। এই ঘটনা ঘটেছে লেকটাউন অঞ্চলে।

যা খবর লেকটাউন শ্রীপল্লীর বাসিন্দা সুধীন মুখোপাধ্যায় স্ত্রী, মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে থাকতেন। করোনায় আক্রান্ত হন তিনদিন আগে। তাঁর সঙ্গে আক্রান্ত ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় দ্রুত। দেখা দেয় অক্সিজেনের অভাব। বাড়িতেই রবিবার মৃত্যু হয় তাঁর।

তার পর থেকে কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। ১৫ হাজার টাকা দিয়ে শবববাহী গাড়ি ভাড়া করা সম্ভব ছিল না। তার উপর বাড়ির বাকি দু’জনেও কোভিড আক্রান্ত। কিছুই বেড়িয়ে তাঁরা করতে পারবেন না। পুরোটাই নির্ভর করছে প্রশাসনের উপর। প্রতিবেশিরা বাইরে থেকে যতটা সম্ভব সাহায্য করছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার  রাতের দিকে শেষ পর্যন্ত কাজ হয়।

এদিকে রবিবার বাঁটরার কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী লেনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ৫৩ বছরের এক ব্যাক্তির। অভিযোগ তাঁর দেহ প্রায় ৯ ঘণ্টা পড়েছিল বাড়িতেই। সর্বত্র, সব হেলপ লাইনে ফোন করেও কোনও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুরসভা থেকে ব্যবস্থা করা হয় ততক্ষণে নাস্তানাবুদ অবস্থা মৃতের পরিবারের। সেই অবস্থাতেই তাঁর পরিবারের লোকেরা রাস্তায়ও বেরিয়েছে। যা থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন প্রতিবেশিরা।

এই ঘটনা প্রতিদিনই বাড়ছে। এমনিতেই রাজ্য জুড়ে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালে জায়গা নেই, অক্সিজেনের সরবরাহ নেই। ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এক জনের হলে বাড়িতে সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন এক সঙ্গে সেকারণে সবাই অথর্ব হয়ে বাড়িতেই বসে থাকছেন। সব মিলে প্রশাসনের উপর অনেকটাই দায়িত্ব বর্তায় এসব ক্ষেত্রে। মানুষ আসলে প্রচন্ড অসহায় হয়ে পড়ছে ক্রমশ।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on April 27, 2021 1:07 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন