বিজ্ঞাপন

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো: বৃষ্টিস্নাত সল্টলেকের মাথার উপর দিয়ে ছুটল ট্রেন

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো শুরু করে দিল যাত্রা। সকাল থেকেই সেন্ট্রাল পার্ক ডিপোতে চলছিল সাজ সাজ রব। ঠিক পৌনে চারটের সময় বেজে উঠল নতুন রেকের হর্ন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো শুরু করে দিল যাত্রা। সকাল থেকেই সেন্ট্রাল পার্ক ডিপোতে চলছিল সাজ সাজ রব। ঠিক পৌনে চারটের সময় বেজে উঠল নতুন রেকের হর্ন। সঙ্গে সঙ্গেই গতি পেল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। পেড়িয়ে গেল সেন্ট্রাল পার্ক ডিপো। পৌঁছে গেল সেন্ট্রাল পার্ক স্টেশনে। এই পুরোটা হতে সময় লাগল  প্রায় দেড় ঘণ্টা।

বুধবারের বিকেলে হঠাৎ সল্টলেকের মাথার উপর দিয়ে ছুটতে শুরু করল মেট্রো রেল। সেই কবে থেকে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন সল্টলেকবাসী থেকে সেক্টর ফাইভে কাজ করতে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ। প্রতিদিন ওই মেট্রোর ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যেতে যেতে কত লোকই না দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলেছে আর ভেবেছে, তাঁর এ জম্মে আর এই মেট্রো করে অফিস যাওয়া হল না। কিন্তু এই প্রজন্মের চাকরীজীবিদের জন্য সত্যিই সুখবর, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রথম ট্রায়ালেই পাশ মার্ক পেয়ে গিয়েছে।

বেশ কয়েকদিন ধরেই এই নতুন রেকের মহরা চলছিল। তবে সেটা শেডের ভিতরেই। এই প্রথম চালানো হল বাইরে। সেন্ট্রাল পার্ক থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত থার্ড লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ আগেই চালু করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সাহায্যেই চলল ট্রেন। শুরুটা আদৌ করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। কারণ সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। তাই দুপুর দুটোর বদলে সময় বদলে করা হয় পৌনে চারটে। সেই বৃষ্টি ভেজা ট্র্যাকেই বাজিমাত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর।

ফুট ওভার ব্রিজ ভেঙে পড়ল আন্ধেরি স্টেশনের কাছে

ততক্ষণে ওভারব্রিজের নিচে জমে গিয়েছে উৎসুক মানুষের ভির। নিচে তখন থেমে গিয়েছে গতি। অটো, বাস, রিক্সা কারও কোনও তাড়া নেই। বহুতলের জানলা, ব্যালকনি থেকেও দেআ গেল উৎসুক মুখদের। সঙ্গেএ ঘনঘন ক্লিক হল মোবাইল ক্যামেরায়।  ভায়াডেক্টে পা দিল মেট্রো। সেন্ট্রাল পার্ক থেকে করুনাময়ীর উদ্দেশে মন্থর গতিতে চলল ট্রেন। যাঁর হাত ধরে গতি পেল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সেই ৬৫ বছরের চালক দীনদয়ালুও উচ্ছ্বসিত। তিনি রেল থেকে অবসরপ্রাপ্ত। এখন কাজ করেন ভারত আর্থ মুভার্স লিইটেডে। ভারতের যেখানেই মেট্রো চালু হয় তার হাতেই থাকে প্রথম দায়িত্ব।

এ দিন মেট্রোর গতি ছিল ২২ কিলোমিটারের আসপাশে। সেই গতিতেই পেড়িয়ে গেল তিনটি স্টেশন। পৌঁছে গেল সেক্ট ফাইভে। একমাস আগেই এই পরীক্ষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। এখন অবশ্য পরীক্ষার সময়। আরও একটি রেক পরীক্ষা করবে খব দ্রুত। এই পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছে রেক, ট্র্যাক ও সিগন্যাল। এটাকেই বলা হয় ভায়াডেক্ট মানে একসঙ্গে একাধিক পরীক্ষার সামনে পড়া। যা সাফল্যের সঙ্গে উতড়ে গেল মেট্র্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

0
0

This post was last modified on July 5, 2018 4:25 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন