বিজ্ঞাপন

ভুয়ো টিকা মামলা: এখনই সিবিআই নয়, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

ভুয়ো টিকা মামলা ঘিরে আপাতত স্বস্তি রাজ্যের। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ভুয়ো টিকা মামলা ঘিরে আপাতত স্বস্তি রাজ্যের। এদিন কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিল এখনই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের আপাতত এমনটা পর্যবেক্ষণ। রাজ্যই তদন্ত করবে পুরো বিষয়টির, রাজ্যের উপরই ভরসা রাখছে আদালত। শুক্রবার সিবিআই-এর আবেদন খারিজ করল আদালত। সঙ্গে যে তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল ভুয়ো টিকা নিয়ে তারও নিষ্পত্তি হল। তবে দেবাঞ্জন দাস নামক ভুয়ো টিকার মাস্টার মাইন্ড ঘিরে ক্রমশ জটিল হচ্ছে প্রশ্ন।

গত মাসের শেষের দিকের ঘটনা। কসবা এলাকায় একটি টিকা শিবিরের আহ্বানে যান অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সেই টিকা সেন্টার আয়োজন করেছিলেন দেবাঞ্জন দেব। সেখানে অতিথি হিসেবে গেলেও টিকা শিবির হওয়ায় নিজেও টিকা নিয়ে নেন মিমি। ঘটনার সূত্রপাত সেখান থেকেই। হয়তো মিমির সঙ্গে এই ঘটনা না ঘটলে এত দ্রুত ভুয়ো টিকা সেন্টারের পর্দা ফাঁস হত না।

টিকা নেওয়ার পর সরকারের তরফে যে মেসেজ মোবাইলে আসার কথা তা না পেয়েই নড়েচড়ে বসেন মিমি। বার বার জিজ্ঞেস করেও যখন কোনও সদুত্তর আসে না তখনই অভিযোগ করেন মিমি। স্থানীয় থানা ও পুরসভাকেও বিষয়টি জানায়। সেই তদন্ত করতে গিয়েই সামনে চলে আসে দেবাঞ্জনের কীর্তি। জানা যায় ততদিনে ওই ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে ১০০-র উফর মানুষ টিকা নিয়ে ফেলেছে এবং তাঁদের কারও কোনও মেসেজ আসেনি বা সার্টিফিকেট মেলেনি।

এর পর গ্রেফতার করা হয় দেবাঞ্জনকে। জানা যায় ভ্যাকসিন বলে যেটা দেওয়া হচ্ছিল সেটা আসলে ভ্যাকসিনই নয়। যা শুনে আতঙ্ক বাড়ে। অসুস্থও হন অনেকে। মিমি-র মধ্যেও বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। তবে সুখবর কারও কোনও বড় ক্ষতি হয়নি ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে। দেবাঞ্জন গ্রেফতার হওয়ার সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িয়ে যেতে শুরু করে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ নেতাদের নাম। তা ঘিরেই বিরোধিতা সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।

এর পর হাইকোর্টের আইনজীবী সন্দীপন দাস সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন। এছাড়া বিজেপি নেতা ও আরও এক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা করেন। শুক্রবার সেই সব মামলারই ছিল শুনানি। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, এই মুহূর্তে এই মামলায় ১৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে। ৪ জন গ্রেফতারের পাশাপাশি জড়িত সন্দেহে ৫০ জনকে জেড়া করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট ছাড়াও আরও কয়েকটি রিপোর্ট পেলেই চার্জশিট দেওয়া হবে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on July 9, 2021 3:03 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন