জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বাজি নিষিদ্ধ করা হল রাজ্যে। বৃহস্পতিবার এমনই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কালীপুজো মানেই শব্দ বাজির তান্ডব। কিন্তু এই বছর পরিস্থিতিটা একদমই আলাদা। পশ্চিমবঙ্গের বাইরের রাজ্যে দূর্গাপুজোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বেশিরভাগ জায়গায়। কিন্তু কলকাতা, শহরতলী ও রাজ্যের সর্বত্র পুজো হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মেই। মানুষ ঠাকুর দেখতেও বেরিয়েছে। তবে নিয়মও ছিল যা মেনেই চলেছে সব। কিন্তু কালীপুজোয় আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে কলকাতা হাইকোর্ট।
একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতেই এই রায় দিয়েছে আদালত। যার ফলে কালিপুজো, দিওয়ালি, ছটপুজোয় কোনও রকমের বাজি ব্যবহার করা যাবে না। বন্ধ করতে হবে কেনাবেচাও। তবে পুজো হবে স্বাভাবিক নিয়মেই। দূর্গাপুজোর মতো নিয়ম মেনেই।
দূর্গাপুজোয় যেমন মন্ডপ থেকে পাঁচ মিটার দূরেই আটকে দেওয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের কালীপুজোতেও সেই পথেই হাঁচতে চলেছে প্রশাসন। মন্ডপে এক সঙ্গে অনেক মানুষ ঠুকতে পারবেন না। কতজন মানুষ মন্ডপে ঢুকবেন তা নির্ভর করবে তার আয়তনের উপর।
জানানো হয়েছে, ১৫০ বর্গমিটার কমের আয়তনের মন্ডপ হলে সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন ১০ জন করে একসঙ্গে। ১৫০-৩০০-র মধ্যে হলে সেখানে ১৫ জনের এক সঙ্গে প্রবেশের অনুমতি থাকছে। তার থেকে বড় হলে সেখানে এক সঙ্গে ৪৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন। এই নিয়ম মেন চলতে পারলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণেও নিয়ন্ত্রণ আনা যাবে।
বিভিন্ন রাজ্যে দিওয়ালিকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই বাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডাক্তারদের মত, করোনার প্রভাবে রোগীদের সব থেকে সমস্যা হয় শ্বাস নিতে। আর বাজি ফাটালে বারুদ, ধোয়ার কারণে বাতাসে পলিউশনের মাত্রা বাড়বে তাতে বাড়বে শ্বাসকষ্টও। যা ক্ষতি করতে করোনা আক্রান্তদের। বাজি নিষিদ্ধ হওয়ায় খুশি পরিবেশ সচেতন মানুষরা।
(বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
This post was last modified on November 5, 2020 8:55 pm