বিজ্ঞাপন

চার দফার ভোট হোক এক সঙ্গে, করোনা আবহে দাবি মমতার, নাকচ কমিশনের

চার দফার ভোট এক সঙ্গে করার দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ জুড়ে যেভাবে করোনার প্রকোপ বাড়ছে তাতে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
বিজ্ঞাপন

নিবার্চন কমিশনার সুশীল চন্দ্রা

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: চার দফার ভোট এক সঙ্গে করার দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে দেশ জুড়ে করোনার প্রকোপ বাড়ছে তাতে পশ্চিমবঙ্গে এই ভোট আবহের মধ্যেই তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। একদিকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যোগ দিচ্ছেন রাজনৈতিক দলের প্রচারে। সামাজিক দুরত্বের কোনও বালাই তো থাকছেই না তার মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই রয়েছে অসচেতনতা। মাস্ক নেই। তার মধ্যেই প্রচার, র‍্যালি, সভা, রোড শো, ভোটের লাইন সবই রয়েছে। এই অবস্থায় এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত বাংলায় কোভিড পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।

সেই কথা মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশনের কাছে বাকি চার দফার ভোট এক সঙ্গে করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা নাকচ করে দিয়েছে কমিশন। এমনকী শেষ তিন দফার ভোটও এক সঙ্গে করতে নারাজ কমিশন। তাদের বক্তব্য তিন দফার ভোট এক সঙ্গে করতে যে পরিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে তা এখানে নেই।

প্রথম থেকেই আট দফায় ভোট করার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিল রাজ্য সরকার। তার মধ্যে এই অতিমারির ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতেও কমিশনের অনড় ভাবের সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন সদ্যনির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেওয়া সুশীল চন্দ্র। সেখানেই আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় শেষ তিন দফার ভোট এক সঙ্গে করা সম্ভব নয়।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, ‘‘এই অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যে আট দফায় ভোট করার বিরোধিতা করছি। এই মুহূর্তে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে তাতে আমি কমিশনকে অনুরোধ করছি বাকি বাকি ভোট এক দফায় করা হোক।  এটা মানুষকে আক্রান্ত হওয়া থেকে আটকাতে সাহায্য করবে।’’

এর মধ্যেই কমিশন রাজ্যে শেষ চার দফার জন্য পর্যবেক্ষকের সংখ্যা বাড়াচ্ছেয় তা ৫৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৬ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার কমিশনের সঙ্গে সব দলের বৈঠক রয়েছে। সেখানে নির্বাচনী প্রচারে রাশ টানার চেষ্টা হবে। কিন্তু তা কতটা কার্যকর হবে প্রশ্ন থাকছেই। সে ক্ষেত্রে ভোট গ্রহনের ক্ষেত্রে নতুন কোনও ব্যবস্থা আনা যায় কিনা দেখা হবে।

শুক্রবার দুপুর ২টোর সময় রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের দফতরে সব দলের একজন করে প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে হবে। থাকবেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়নস্বরূপ নিগম ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহনও।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on April 15, 2021 11:36 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন