বিজ্ঞাপন

মোদী-দিদি তরজা, শনিবাসরীয় পশ্চিমবঙ্গ তাতেই জমে থাকল দিনভর

মোদী-দিদি তরজা, তাতেই জমে উঠল শনিবাসরীয় পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের দু’টি জায়গায় এ দিন সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সভা শেষ হতেই তাঁকে একহাত নেন মমতা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মোদী-দিদি তরজা, তাতেই জমে উঠল শনিবাসরীয় পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের দু’টি জায়গায় এ দিন সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ওই সভা শেষ হতেই একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে টেলিফোনে সাক্ষাৎকার দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দল বিজেপিকে কার্যত তুলোধনা করেন।

নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে মমতা এ দিন তাঁকে ‘দাম্ভিক’ এবং ‘অহঙ্কারী’ বলে কটাক্ষ করেন। তৃণমূল নেত্রীর মতে, মোদীর কোনও রাজনৈতিক জীবন নেই। তাঁর কেরিয়ারে একটাই ‘সাফল্য’— গুজরাত দাঙ্গা। তাঁর কথায়, ‘‘এদের দেহে, চোখে, মুখে দাঙ্গার রক্ত লেগে আছে। এদের দেখে লজ্জা হয়। ঘৃণা হয়।’’

মোদীকে ‘দুর্নীতির ঠাকুর্দা’ বলেও এ দিন অভিহিত করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘এখন যিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী, তিনি দুর্নীতির ঠাকুর্দা। দেশে যারা আগুন লাগায়, তাঁদের ক্ষমতায় থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। দেশের সব মানুষ এক হয়েছে, ওদের ক্ষমতাচ্যূত করতে।’’

দুর্গাপুরের সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে ‘সিন্ডিকেট’ নিয়ে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এ রাজ্যে সিন্ডিকেট রাজ চলছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব ঘুচিয়ে দেব।’’ রাজ্যে ‘তৃণমূল তোলাবাজি ট্যাক্স’ নিচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। মোদীর বক্তব্যের পাল্টা জবাবে মমতা বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে সিন্ডেকেটের অভিযোগ তোলার উনি কে?  নিজেই তো সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন জিএসটি নিয়ে। নোটবন্দি নিয়ে সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন। ওই সব সিন্ডিকেটের নেতা উনি।” তিনি আরও বলেন, “সিন্ডিকেট তো ভাল অর্থেও ব্যবহৃত হয়। সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কও তো রয়েছে।”

মমতা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাকে বঞ্চিত করাই ওদের উদ্দেশ্য। বাংলাকে গত ৫ বছরে কিছু দেয়নি। একটা ট্রেন দিয়েছে? নির্বাচনে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা খরচ করে। কোথা থেকে পায়!’’

এ দিন মোদী ঠাকুরনগরের সভা থেকে নাগরিকত্ব বিলে সমর্থন করার জন্য তৃণমূলের কাছে আর্জি জানান। মমতা তাঁর প্রেক্ষিতে বলেন, ‘‘নাগিরকত্ব বিলের নামে অসমে ২২ লাখ হিন্দু বাঙালি এবং ২৩ লাখ মুসলিম বাঙালিকে খেদিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ওরা। আমি ওঁকে দাঙ্গা বাধানোয় সমর্থন করব না। বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ লাগাতে দেব না। বিহারি খেদাতে দেব না। ওঁকে তাঁড়ানোই আমার প্রথম কাজ। নাগরিকত্ব বিল প্রত্যাহার করতে হবে।’’

(বাংলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

0
0

This post was last modified on February 2, 2019 10:57 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন