বিজ্ঞাপন

ধর্নায় মমতা, তৃতীয় দিনে সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ

ধর্নায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেটে গেল ২৪ ঘণ্টারও বেশি। কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে তিনি যখন ‘সেভ ইন্ডিয়া’ মঞ্চে ধর্নায় বসে তখন দেশ জুড়ে ঘটছে একের পর এক ঘটনা।
বিজ্ঞাপন

ধর্নায় মমতা

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ধর্নায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেটে গেল ২৪ ঘণ্টারও বেশি। কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে তিনি যখন ‘সেভ ইন্ডিয়া’ মঞ্চে ধর্নায় বসে রয়েছেন, তখন দেশ জুড়ে ঘটে যাচ্ছে একের পর এক ঘটনা। সুপ্রিম কোর্ট থেকে সংসদ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাইকোর্ট সর্বত্রই মমতা-কেন্দ্র সংঘাতের উত্তাপ।

রবিবার রাত পৌনে ন’টা নাগাদ ধর্নায় বসেন মমতা। সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয় সংসদ। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘বাংলায় সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে।’’ এর পরেই এ দিন দুপুরের দিকে নয়াদিল্লিতে বিজেপি-র সদর দফতরে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও। তিনি বলেন, “দেশ কোথায় যাচ্ছে! এক জন পুলিশ কমিশনার গিয়ে ধর্নায় বসে পড়ছেন! কী অবস্থা বাংলার! পুলিশ আধিকারিক অনেক কিছু জানেন। সিবিআই তো গিয়েছিল দুর্নীতির তদন্ত করতে। দুর্নীতির তদন্ত করা কি পাপ?”

রবিবার রাতে যখন লাউডন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের বাংলোর সামনে সিবিআই-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ চলছিল, তখনই দু’পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল জেরা করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) প্রবীণ ত্রিপাঠী সংবাদমাধ্যমকে জানান, “সিবিআই আধিকারিকদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না।” পাল্টা সিবিআই-এর এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। তা ছাড়া সিবিআই-এর ডিএসপি তথাগত বর্ধনও দাবি করেন, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে। এই তদন্তে সিক্রেট অপারেশনের জন্য কোনও কাগজের দরকার পড়ে না। এ দিন রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “বিনা ওয়ারেন্টে সিবিআই ওখানে গিয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য সরকার যে ভাবে হল্লা করছে, তা ভুল।”

এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে রবিশঙ্কর প্রসাদ বাংলার শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “নেতা-মন্ত্রীরা যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন, তখন তো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নামেননি। এখন তা হলে নেমেছেন কেন?’’ তিনি জানান, ২০১৩-র ২৬ এপ্রিল বেআইনি অর্থলগ্নি দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই দলের দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার। তিনি তখন বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে।

এ দিন রাহুল গাঁধীকেও আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় রবিশঙ্কর। ২০১৪ সালের ৮ মে রাহুল গাঁধীর করা একটি টুইটের উল্লেখ করেন তিনি। সেখানে লেখা— ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতিতে টাকা হারিয়েছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাহুলের সেই টুইটের কথা তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আজ রাহুল সিবিআই নিয়ে চিৎকার করছেন। কিন্তু ২০১৪-য় ওই টুইটের কথা মনে আছে কি তাঁর? সে দিন তো তিনি সারদা, রোজভ্যালি নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন।… আজ পুরো ইউ টার্ন করে গেলেন কী ভাবে?”

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ দেখতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on February 5, 2019 2:12 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন