বিজ্ঞাপন

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভাইফোঁটা চেয়েছিলেন রাজ্যপাল, নেমন্তন্ন পেলেন কালীপুজোয়!

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভাইফোঁটা চেয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রী ভাইফোঁটায় আপ্যায়ন করার পরিবর্তে সস্ত্রীক রাজ্যপালকে নেমন্তন্ন করেছেন কালীপুজোয়।
বিজ্ঞাপন

মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। পুরনো ছবি।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভাইফোঁটা চেয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এমন আগ্রহের কথা নবান্নকেও জানানো হয়েছিল বলে খবর। তবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে ভাইফোঁটায় রাজ্যপালকে আপ্যায়ন করা তেমন ভাবে সম্ভব হবে না বলে নবান্ন জানিয়ে দিয়েছে রাজভবনকে। একই সঙ্গে সস্ত্রীক রাজ্যপালকে তিনি নেমন্তন্ন করেছেন তাঁর বাড়ির কালীপুজোয়।

এই নিমন্ত্রণের কথা রাজ্যপাল শনিবার নিজেই জানিয়েছেন। তিনি এ দিন গিয়েছিলেন বারাসতে। কালীপুজোর উদ্বোধন করতে। সেখানে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘২৯ অক্টোবর ভাই-বোনদের বিশেষ একটা দিন। আমার স্ত্রী এবং আমি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ২৭ তারিখ কালীপুজোর বিকেলে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।”

রাজ্যের এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন…

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বারই ভাইফোঁটার দিনটিকে মমতা ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ দিবস হিসেবে পালন করেন। সে দিন তাঁর বেশ কিছু কর্মসূচিও থাকে। সে কারণে ওই দিন রাজ্যপালকে তাঁর পক্ষে আপ্যায়ন করা তেমন ভাবে সম্ভব হবে না। তাই কালীপুজোর বিকেলে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে রাজ্যপালকে নিমন্ত্রণ করেছেন মমতা। রাজ্যপাল এ দিন এই নিমন্ত্রণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘খুব খুশি হয়েছি আমরা। স্ত্রীকে নিয়েই  মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুজোয় যাব।’’

সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মতবিরোধ সামনে এসেছে। তবে, কখনই মমতার নাম করেননি জগদীপ ধনখড়। এমনকি ইদানীং রাজ্যপালকে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতেও শোনা গিয়েছে। সেটা যাদবপুর-কাণ্ড হোক বা কার্নিভাল ইস্যু— রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে।

‘‘২৯ অক্টোবর ভাই-বোনদের বিশেষ একটা দিন। আমার স্ত্রী এবং আমি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ২৭ তারিখ কালীপুজোর বিকেলে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।” রাজ্যপাল, জগদীপ ধনখড়

রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দিল্লিও খুব একটা ভাল ভাবে দেখছে না রাজ্যপালের এই ভূমিকা। পরিস্থিতি কিছুটা নরম করতেই তিনি নিজে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের মতে, বিতর্কে ইতি টানতেই এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। তবে অন্য একটা অংশের ধারণা, এর আগে রাজ্যপালকে নানাবিধ পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে, যার সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপের কোনও মিল ছিল না। এটাও তেমন কি না, তা নিয়ে ওই অংশটি সন্দীহান।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন