বিজ্ঞাপন

মাঝেরহাট সেতু সংস্কার কেন করা হয়নি, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মাঝেরহাট সেতু সংস্কার করার প্রয়োজন ছিল। সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও নাকি পূর্ত দফতরের কাছে ছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞাপন

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মাঝেরহাট সেতু সংস্কার করার প্রয়োজন ছিল। সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও নাকি পূর্ত দফতরের কাছে ছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেতু মেরামতির প্রয়োজন জানার পরেও কেন কাজ শুরু করা হয়নি, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

এ দিন মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার কারণ খতিয়ে দেখতে নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়ে দিয়েছেন তিনি। ওই কমিটিতে সেচ, নগরোন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পূর্ত দফতরের সচিবের সঙ্গেই রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে রাখা হয়েছে। ওই কমিটি আগামী সাত-আট দিনের মধ্যেই রিপোর্ট দেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘কোনও ব্রিজ পূর্ত দফতরের অধীনে, সেচ দফতরের অধীনে কিছু সেতু রয়েছে, কিছু রয়েছে কেএমডিএ-র হাতে। তাই পূর্ত দফতর, সেচ দফতর এবং কেএমডিএ-র অধীনে আলাদা আলাদা ইনস্পেকশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি হচ্ছে।’’

মুখ্যমন্ত্রী এ দিনের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে মমতা জানান, শহরের ২০টি সেতুর অবস্থা বিপজ্জনক। বেশির ভাগ সেতুরই মেয়াদ ফুরিয়েছে। ওই সেতুগুলির দ্রুত মেরামতি প্রয়োজন। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় সরকারি বিশেষজ্ঞরা জেনেছেন, সাঁতরাগাছি, উল্টোডাঙা, শিয়ালদহ, বেলগাছিয়া, ঢাকুরিয়া, চিংড়িঘাটার মতো সেতুগুলির অবস্থা বেশ খারাপ। ওই সেতুগুলির মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে সেগুলি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। সাঁতরাগাছি সেতুতে অবিলম্বে ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, সাঁতরাগাছি সেতু দিয়ে এখন মূলত যাত্রিবাহী গাড়ি চলবে। ভারী গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে তো সেতুগুলো বাঁচাতে হবে। এতগুলো সেতু একসঙ্গে দু্র্বল হয়ে গিয়েছে শুনছি। সব ক’টা একসঙ্গে খারাপ হলে তো মুশকিল।’’

পায়েল চক্রবর্তী, হোটেল থেকে পাওয়া গেল অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ

বিভিন্ন এলাকায় সেতু নির্মাণ শেষ হতেই কিছু লোক সেতুর তলা দখল করছে এবং ঘর বানিয়ে থাকতে শুরু করছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘এঁরা কেউ স্থানীয় লোক নন। অন্য কোনও জায়গা থেকে এসে ঘর বানিয়ে থাকতে শুরু করছেন। ব্রিজের নীচেই রান্না করছেন, থাকছেন, খাচ্ছেন, আগুন জ্বালাচ্ছেন।’’ এতেও সেতুর ক্ষতি হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন