জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হাসপাতাল থেকে মমতার বার্তা, দরকারে হুইল চেয়ারে ঘুরব, তা-ও মিটিং বাতিল নয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাসপাতাল থেকে মমতার বার্তা—
‘‘আমি সবাইকে বিশেষ করে আমার যারা কর্মী ভাইবোনেরা আছেন এবং সাধারণ মানুষ আছেন, এটা ঠিক যে কালকে খুব জোর আমার লেগেছিল এবং আমার হাত পায়ে চোট আছে বোন ইনজুরি আছে, লিগামেন্টে আছে। কালকে আমার মাথা এবং চেস্টে খুব পেনও হয়েছে, এত বড় একটা চোট লাগার পরে আমার গাড়ির বনেটের উপরে আমি দাঁড়িয়ে নমস্কার করছিলাম, তখন এমন জোরে চাপ আসে, যে তাতে আমার পুরো গাড়িটা চেপে যায় আমার পায়ের মধ্যে। এই অবস্থায় আমার কাছে যা ওষুধটষুধ ছিল সেগুলো খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমরা কলকাতার দিকে রওনা হই এবং তার পর থেকে ডাক্তারদের চিকিৎসাতেই আমি আছি। আমি অনুরোধ করব আমার সকলের কাছে যে সকলে শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন, ভাল থাকুন। আর এমন কিছু করবেন না, যাতে মানুষের কোনও অসুবিধে হয়, আমি আশা করি দু’তিন দিনের মধ্যে আমি আবার নিজের ফিল্ডে ফিরে যেতে পারব। তবে হয়তো পায়ের প্রবলেম থাকবে। কিন্তু আমি ম্যানেজ করে নেব। আমার মিটিংটিটিং আমি কিছুই নষ্ট করব না। দরকারে হয়তো আমাকে কিছু দিন হুইল চেয়ারে ঘুরতে হবে। সেটা আপনাদের সহযোগিতা চাইব।’’
বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ার বাজারের কাছে আহত হন মমতা। তাঁকে রাতেই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করানো হয়।
বৃহস্পতিবার মমতাকে দেখতে হাসপাতালে যান তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। একইসঙ্গে গিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য এবং তথাগত রায়েরা। কিন্তু ভিজিটিং আওয়ারের বাইরের সময়ে যাওয়ায় তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই বিজেপি নেতারা।
অন্য দিকে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কমিশন শুক্রবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছ থেকে এই সমক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারেন বিবেক, এমনটাও শোনা গিয়েছে।
তবে ঘটনার পর মমতা জানিয়েছিলেন, চার-পাঁচ জন মিলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। বৃহস্পতিবারের ভিডিয়ো বার্তায় তেমন কোনও কথা আর বলেননি মুখ্যমন্ত্রী।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
This post was last modified on March 12, 2021 3:03 am