বিজ্ঞাপন

মেট্রোয় আগুন আতঙ্ক, ধোঁয়ায় আধ ঘণ্টা আটকে অসুস্থ যাত্রীরা

মেট্রোয় আগুন । কলকাতায় মেট্রো চলাচল যেন জীবন হাতেই করতে হয়। কখন টানেলে মেট্রো আটকে দমবন্ধ পরিবেশের সৃষ্টি হবে তা কেউ জানে না।
বিজ্ঞাপন

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মেট্রোয় আগুন । কলকাতায় মেট্রো চলাচল যেন জীবন হাতেই করতে হয়। কখন টানেলে মেট্রো আটকে দমবন্ধ পরিবেশের সৃষ্টি হবে তা কেউ জানে না। এতটাই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলে কলকাতা মেট্রো রেল পরিষেবা। টানেলে আটকে গেলে যাত্রীদের উদ্ধার করতেও এত সময় লেগে যায় যে অসুস্থ হয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার আরও ভয়ঙ্কর ঘট‌না ঘটল।

দমদমগামী মেট্রোতে এই বিকেলে রীতিমতো ভিরে ঠাসা থাকে। এই ট্রেনটি ময়দান স্টেশনে ঢোকার আগেই তাঁর কামরায় ধোঁয়া দেখা দেয়। সেই ধোঁয়া এবং পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে মেট্রোর টানেলে। উল্টোদিক থেকে আসা টালিগঞ্জগামী মেট্রোতে প্রথমে ভাবা হয়েছিল আগুন লেগেছে। কিন্তু দেখা যায় উল্টোদিক থেকে আসা দমদমগামী মেট্রোটি প্ল্যাটফর্ম থেকে বেশ খানিকটা দূরে টানেলের মধ্যে দাঁড়িয়ে যায়।

আগুন দেখা না গেলেও ধোঁয়ার পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল যে যাত্রীদের শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে। শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। তাতেও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশ খানিকক্ষণ সেভাবেই আটকে থাকে ট্রেন। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের অভিযোগ টানেলেন মধ্যে ধুঁয়ো ভর্তি এসি কামরায় আধঘণ্টা ও ভাবে আটকে থাকতে হয়েছে তাঁদের।

খবর যায় দমকলে। তারা এলে এবং মেট্রো কর্মীদের সহযোগিতায় জানলার কাঁচ ভেঙে উদ্ধার করা হয় যাত্রীদের। তার পর লাইন দিয়েই হাঁটিয়ে প্ল্যাটফর্মে এনে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁদের।

সাময়িক বন্ধ রাখা হয় মেট্রো চলাচল। এর পর ময়দানের আগে ও পড় পর্যন্ত মেট্রো চালানো শুরু হয়। কিন্তু আটকে থাকা যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কোনও হেলফ লাইন কাজে লাগেনি। উদ্ধার করতে আধঘণ্টা কেন লাগল সেটাও বড় প্রশ্ন। সত্যিই বড় আগুন লাগলে কী হত সেটা ভেবেই আঁতকে উঠছেন যাত্রীরা।

মরসুমের শীতলতম দিন ছিল বুধবার

মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ফেসবুক পেজে এই ঘটনার কথা জানিয়ে লিখেছে, ‘‘রবীন্দ্র সদন ও ময়দানের মাঝখানে মেট্রো রেলে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে ফায়ার হাইড্রেন্ট দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গ দমকল সার্ভিস ও কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপও পৌঁছেছে। যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ আতঙ্কিত হবেন না।’’

দমদম নোয়াপাড়ার মধ্যে আলাদা করে মেট্রো চালানো হচ্ছে। সঙ্গে টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত আপ-ডাউনে ট্রেন চলছে। অন্যদিকে সেন্ট্রাল থেকে ময়দানের মধ্যে আপ- ডাউনে ট্রেন চলছে। আবার সেন্ট্রাল থেকে চলছে দমদম পর্যন্ত।

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন