বিজ্ঞাপন

তৃণমূ‌লের ৪০ বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, দাবি নরেন্দ্র মোদীর

তৃণমূ‌লের ৪০ বিধায়ক নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটের দিন প্রচারে এসে এমন দাবিটা করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন

নরেন্দ্র মোদী

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: তৃণমূ‌লের ৪০ বিধায়ক নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটের দিন প্রচারে এসে এমন দাবিটা করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার দুপুরে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তিনি হুগ‌লির চণ্ডীতলার জনসভা থেকে বললেন, ‘‘২৩ মে চার দিকে পদ্ম ফুটবে। তার পর আপনার সঙ্গে আর কেউই থাকবে না। দিদি এখনও পর্যন্ত আপনার ৪০ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’’ হুগলির সভামঞ্চ থেকে এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘চুপে চাপ কমল ছাপ, বুথ বুথ সে তৃণমূল সাফ।’’

তৃণমূল যদিও মোদীর এই মন্তব্যের অন্য উদ্দেশ্য দেখছে। তাদের মতে, বিধায়ক কেনাবেচার ইঙ্গিতই করতে চেয়েছেন মোদী। আর সেটাকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না তারা। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।

ভোটের আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

নরেন্দ্র মোদীকে ভোটের বদলে বালি-কাঁকড় মেশানো মাটির রসগোল্লা খাওয়াবেন বলে বারবারই কটাক্ষ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জবাবে সোমবার মোদী রাজ্যে জোড়া সভায় মমতাকে পাল্টা বললেন, ‘‘এ রাজ্যে রামকৃষ্ণ পরমহংস, চৈতন্যদেবের মতো বিশিষ্ট মনীষীর পায়ের ধুলো পড়েছে। সেই মাটির রসগোল্লা তো আমার কাছে প্রসাদ! আমি অপেক্ষা করব ওই রসগোল্লার জন্য।’’ রসগোল্লা বিতর্কে এ দিন ফের মুখ খুলেছেন মমতাও। এ দিন উপহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের সমালোচনা করে স্বরূপনগরের নির্বাচনী জনসভায় মমতা বলেন, ‘‘শুধু আপনাকে নয়। মনমোহন সিংহ যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাঁকেও উপহার পাঠিয়েছি।’’

অন্য দিকে এ দিন রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট ছিল। প্রথম তিন দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ যেমন ছিল, এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এ দিন গোলমালের সময় বাহিনীকে দেখা যায়নি।

বিরোধীরা প্রশ্ন তুলল, কমিশনের খাতায় ৯৬ শতাংশ বুথে যে বাহিনী রাখা হয়েছিল, তারা গোলমালের সময়ে গেল কোথায়? মোট ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে নানা জায়গাতেই বুথ দখল, ছাপ্পা, সংঘর্ষ, ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। কোথাও প্রার্থী নিজে গিয়ে, কোথাও স্থানীয় বাসিন্দারা রুখে দাঁড়িয়ে ভোট লুট আটকানোর চেষ্টা করেছেন। অথচ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেছেন, ‘‘কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট মোটের উপরে শান্তিপূর্ণই হয়েছে।’’ বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৬.৪৪ শতাংশ। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, পঞ্চম দফার ভোটের দিন আগামী ৬ মে ৭টি কেন্দ্রের ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on April 30, 2019 1:28 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন