বিজ্ঞাপন

জামিনের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ, হাসপাতালে সুব্রত-শোভন-মদন

জামিনের পুনর্বিবেচনা চেয়ে যে আদালতের দ্বারস্থ হবে এই নেতা-মন্ত্রীরা তা মঙ্গলবার সকাল থেকেই আলোচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই আবেদন গ্রহন করল হাই কোর্ট।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: জামিনের পুনর্বিবেচনা চেয়ে যে আদালতের দ্বারস্থ হবে এই নেতা-মন্ত্রীরা তা মঙ্গলবার সকাল থেকেই আলোচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই আবেদন গ্রহন করল হাই কোর্ট। তবে শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একদিন। আগেই বুধবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল আদালতের পক্ষে সেটাই বহাল থাকল। সোমবার এই নিয়ে চলে দিনভর নাটক। সেদিন সকালে নারদ কাণ্ডে পঞ্চায়েমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পরিবহনমন্ত্রী  ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র  ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই।

নাটকের শুরু তার পর থেকে। দলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারের খবরে উত্তাল হয়ে ওঠে নিজাম প্যালেসের সামনের এলাকা। দলে দলে তৃণমূল কর্মী-সদস্যরা সেখানে পৌঁছে যায়। এর পর কেন্দ্রীয়বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে বচসা, ধাক্কা ধাক্কি, ইটপাটকেল ছোঁড়া শেষ পর্যন্ত রাস্তার উপর ধর্নায় বসার মতো ঘটনা চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ততক্ষণে কোভিড বিধি শিঁকেয় উঠেছে।

তার আগেই অবশ্য নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর একটাই বক্তব্য ছিল, যতক্ষণ না তাঁর দলে নেতা-মন্ত্রীদের ছাড়া হবে ততক্ষণ তিনি সেখান থেকে নড়বেন না। শেষ পর্যন্ত ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে বিশেষ আদালত সকলকেই জামিন দেয়। কিন্তু তাঁদের ছাড়েনি সিবিআই। বরং হাই কোর্টে জামিনের স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা করা হয় এবং স্থগিতাদেশ পেয়ে যায় সিবিআই। সেই রাতেই চারজনকে প্রেসিডেন্সি জেলে স্থানান্তরিত করা হয়।

সকলেরই যথেষ্ট বয়স হয়েছে সঙ্গে রয়েছে নানা ধরনের অসুস্থতা। গ্রেফতার করার পরই মঙ্গলবার থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মগৃদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিন জনকেই ভর্তি করা হয় এসএসকেএম-এ। মঙ্গলবার তাঁদের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ডও।

নির্বাচন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মদন মিত্র। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে  হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। সঙ্গে কোভিডেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। এদিন আবার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। সুব্রতরও রয়েছে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। করোনা পরীক্ষাও হয়েছে তিন নেতারই।

সোমবার রাতে চার নেতাকে নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে হাজির হন সকলের পরিবারের লোকজন। ছিলেন ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে ও বৈশাখী। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায় কান্নায় ভেঙে পড়তে। জেলের গেটে ধাক্কা দিতে দিতে তিনি শোভনের সঙ্গে দেখা করতে চান। ওষুধ খাওয়ানোর আর্জি জানাতে থাকেন তিনি। এর আগে সোমবার সকালে নিজাম প্যালেসে ছুটে গিয়েছিলেন শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ও।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on May 19, 2021 3:25 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন