বিজ্ঞাপন

এনকাউন্টারে হত দুই গ্যাংস্টারের ময়নাতদন্ত, সন্দেহ পাকিস্তান যোগের

এনকাউন্টারে হত দুই গ্যাংস্টারের ময়নাতদন্ত হল বৃহস্পতিবার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে ময়নাতদন্ত।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: এনকাউন্টারে হত দুই গ্যাংস্টারের ময়নাতদন্ত হল বৃহস্পতিবার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে এনকাউন্টারে হত দুই গ্যাংস্টারের ময়নাতদন্ত হয়। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে এসটিএফের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে পঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার এবং যশপ্রীত সিং। ময়নাতদন্তে সময় তাঁদের শরীরে একাধিক বুলেটের চিহ্ন মিলেছে। শরীরের ঊর্ধ্বাংশে বেশি ক্ষত থাকলেও প্রায় সর্বত্রই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীর থেকে একাধিক বুলেট বার করা হয়েছে।

দেহ থেকে পাওয়া বুলেটগুলোর ব্যালেস্টিক পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এনকাউন্টারের সময় একাধিক বুলেট তাদের শরীর ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। ঢোকা এবং বেরনোর চিহ্ন শরীরে স্পষ্ট ভাবেই মিলেছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী টিমের এক সদস্য। ওই দুই গ্যাংস্টারের ভিসেরা এবং ডিএনএ নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

অন্য দিকে, নিউটাউনের যে সাপুরজি আবাসনে ঘাঁটি গেড়েছিল দুই গ্যাংস্টার এ দিন সেখানে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে গিয়েছিল ফরেন্সিকের একটি দল। আবাসনের ভিতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ওই দলের সদস্যেরা। যে ঘর থেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর সঙ্গে এনকাউন্টারে জড়ায় ওই দুই গ্যাংস্টার, সেই ঘরের একটি আলমারি থেকে একটি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। তার গায়ে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ঠিকানা ছাপানো। এর পরেই ওই দুই গ্যাংস্টারের পাকিস্তান যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কিন্তু পঞ্জাব থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে কী ভাবে ডেরা বেঁধেছিল জয়পাল-যশপ্রীত? প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বাড়ি ভাড়া দেওয়া-নেওয়ার ওয়েবসাইট থেকেই নিউটাউনের এই আবাসনের হদিশ পায় ওরা। এর পর সেখানে ফ্ল্যাট ভাড়ার জন্য যোগাযোগ করে সৌরভ কুমার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি জমি-বাড়ি কেনাবেচা এবং ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে মধ্যস্থতার কাজ করেন বলে পুলিশের দাবি। ফোনে সৌরভের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই দুই গ্যাংস্টার জানিয়েছিল, বদলির চাকরি করেন তারা। ফলে ঘর পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি।

লকডাউনের মধ্যে এমন ব্যবস্থা করা মুশকিল বলে জানিয়েও শেষমেশ সৌরভ যোগাযোগ করিয়ে দেন সুশান্ত নামের এক জনের সঙ্গে। অবিবাহিত দুই সহকর্মী একসঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকবে বলেও সৌরভ ও সুশান্তকে ওই দুই গ্যাংস্টার বলে। এর পর ২০ হাজার টাকা অগ্রিম এবং মাসে ১০ হাজার টাকা ভাড়ার শর্তে ৪৮০ বর্গফুটের ওই ফ্ল্যাটে থাকার চুক্তি হয়। কাগজপত্র হয় সুমিত কুমার নামের এক ব্যক্তির নামে। গাড়ির সরঞ্জামের ব্যবসায়ী সুমিতের নামে পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাগজও জমা পড়ে। কিন্তু সেখানে সুমিতের বদলে থাকছিল ওই দুই গ্যাংস্টার।

গোয়েন্দারা সব কিছুর পাশাপাশি সুশান্ত, সৌরভের সঙ্গে কথা বলে এই সুমিতের ব্যাপারে জানতে চাইছেন।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on June 11, 2021 12:19 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন