বিজ্ঞাপন

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়ল না রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়ল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সে কথা চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে কি জল্পনার ইতি হল!
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়ল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সে কথা চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে মুখ্যসচিবের  দিল্লি বদলির জল্পনার ইতি হল! এত সহজে সত্যিই কী কেন্দ্র ছেড়ে দেবে বিষয়টি। নাকি পাল্টা কোনও পদক্ষেপ নেবে। জানা যাচ্ছে, এভাবে কোনও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কোনও আগাম নোটিস ছাড়া ডেকে নেওয়া যে বেআইনি এবং কেন্দ্র সরকার যা করেছে তার ভুলগুলো ধরিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে চিঠি গিয়েছে। এবং কেন আলাপনকে ছাড়তে পারছে না রাজ্য তার বিস্তারিত জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে।

এর সঙ্গে আবেদন করা হয়েছে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি ডাকার যে নির্দেশ সেটা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে ৫ পাতার চিঠি গিয়েছে কেন্দ্রের কাছে। সেই চিঠিতে লেখা হয়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার মুখ্যসচিবকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে ছাড়তে পারছে না এবং ছাড়ছে না। তাঁর কাজের সময়সীমা বাড়ানোর যে আগের অর্ডার ছিল তার উপর ভিত্তি করে আইনি মতামতের ভিত্তিতে তাঁর কাজ চালিয়ে যাওয়া সঠিক।’’

সেখানে আরও লেখা হয়, আমি নিশ্চিত আপনি আর এই রাজ্যের মানুষদের আর বিপদে ফেলবেন না একজন অভিজ্ঞ অফিসারকে তাঁর কাজ থেকে রিয়ে নিয়ে, হঠাৎ করে কোনও আলোচনা ছাড়া। কঠিন পরিস্থিতিতে এই রাজ্যের তাঁকে দরকার রয়েছে চার দিন আগেই সেটা আপনার সরকার মেনে নিয়েছিল।’’

সোমবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সকাল ১০টার মধ্যে দিল্লিকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। ইয়াস নিয়ে কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর মিটিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের না থাকার পরই এমন সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি সরকারের সব তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা। অনেকে সেটাকে গনতন্ত্র বিরোধী বলেও ব্যাখ্যা করেছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন ভারতের ইতিহাসে এমনটা কখনও হয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি। রাজ্য সরকারের তরফে মনে করা হচ্ছে তারই বদলা হিসেবে আলাপনকে ডেকে নেওয়ার পদ্ধতি শুরু করেছিল কেন্দ্র।

এদিন ৩১ মে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবসরের দিন। তবে তার বেশ কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়ে তাঁর চাকরীর সময়সীমা তিনমাস বাড়িয়ে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। যাতে সম্মতিও দিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। তার পরই গত শুক্রবার আলাপনকে দিল্লিকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশের ঘটনাটি ঘটেয় তার পর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। শেষ পর্যন্ত তিনি যে দিল্লি গেলেন না।

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে এদিন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের দায়িত্বের পাশাপাশি তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনের টানাপড়েনের কথাও জানানো হয়। সেখানে তাঁর সদ্য ভাইকে হারানোর কথাও জানানো হয়। এর সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও আমলাকে একতরফা বদলির সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরুদ্ধাচারণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে এদিন তাঁর নিয়ম মেনেই রাজ্যের কাজ করবেন মুখ্যসচিব।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন