বিজ্ঞাপন

রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে ফের ডাক সুদীপ-তাপসকে

রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে তৃণমূলের দুই সাংসদ সুদীপ ও তাপসকে ফের ডেকে পাঠানো হল। খুব শীঘ্রই তাঁদের সল্টলেকে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন

রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে ফের ডাক সুদীপ-তাপসকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে তৃণমূলের দুই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস পালকে ফের ডেকে পাঠানো হল। খুব শীঘ্রই তাঁদের সল্টলেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দু’জনকে ফের সিবিআই-ও ডেকে পাঠাতে পারে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর।

রোজভ্যালি-কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাপস পালকে এর আগে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। জেল হেফাজতে থাকার পর এখন দু’জনেই শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। রোজভ্যালির প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের ঘটনায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-ও তদন্ত করছে। সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু এখনও জেলে থাকলেও, তদন্তে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। নাম জড়িয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদেরও।

বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এর আগে ২০১৬-র ২৯ ডিসেম্বর সল্টলেকের অফিসে ডেকে জেরা করার পরে তাপস পালকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার ঠিক চার দিন পর ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি একই ভাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে জেরা করার পরে গ্রেফতার করা হয়। দু’জনকেই ওড়িশার ভুবনেশ্বরে নিয়ে যায় সিবিআই। সেখানকার জেলে রাখা হয় দু’জনকেই। পরে অসুস্থ হয়ে দুই সাংসদকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। গ্রেফতারের প্রায় সাড়ে চার মাস পরে, ওই বছরের ১৯ মে জামিন পান সুদীপ। সেই সময়ে তিনি বেশ অসুস্থ ছিলেন। তাপস পাল জামিন পান এই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি।

পোলিও টিকা খাওয়ানোর পর জানা গেল তাতেই রয়েছে ভাইরাস! তিন রাজ্যে দুশ্চিন্তা

সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সারদা, রোজভ্যালির মতো বিভিন্ন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা বাজার থেকে যে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল, সেই টাকা কোথায় গিয়েছে, মূলত এখন সেটাই খতিয়ে দেখছে ইডি। তদন্তে নেমে প্রথমে ইডি-র গ্রেফতার করে রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুকে। পরে সিবিআইও গৌতম কুণ্ডুকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। ইডি সূত্রে খবর, সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু এবং সংস্থার বেশ কয়েক জন পদস্থ কর্মচারীকে বিভিন্ন সময়ে জেরা করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রোজভ্যালির ঘনিষ্ঠ যোগের তথ্য উঠে আসে। রোজভ্যালির অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া বিভিন্ন নথিতেও সুদীপবাবুর নাম পাওয়া যায়। তার ভিত্তিতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে। একই ভাবে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির সঙ্গে তাপস পালেরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন সময়ে মোটা টাকা নিয়েছেন। রোজভ্যালির যে ফিল্ম ডিভিশন রয়েছে, তাপস পাল মাস ছয়েক তার অন্যতম ডিরেক্টরও ছিলেন।

0
0

This post was last modified on October 2, 2018 9:56 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন