বিজ্ঞাপন

ভিক্টোরিয়ায় বাজ পড়ে প্রাণ গেল যুবকের, তুমুল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শহর

ভিক্টোরিয়ায় বাজ পড়ে প্রাণ গেল এক যুবকের। একই সঙ্গে তড়িদাহত হলেন অন্তত ১৬ জন। তাঁদের মধ্যে মৃত ওই যুবকের স্ত্রী এবং আড়াই বছরের মেয়ে রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভিক্টোরিয়ায় বাজ পড়ে প্রাণ গেল এক যুবকের। একই সঙ্গে তড়িদাহত হলেন অন্তত ১৬ জন। তাঁদের মধ্যে মৃত ওই যুবকের স্ত্রী এবং আড়াই বছরের মেয়ে রয়েছেন। শুক্রবার বিকেলের ওই ঘটনায় আহতরা প্রত্যেকেই এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের সকলের অবস্থা স্থিতিশী‌ল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ ছিল মেঘলা। মাঝে মাঝে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিও হচ্ছিল। কিন্তু বিকেল তিনটে নাগাদ একেবারে ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। সঙ্গে প্রচণ্ড বজ্রপাত। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময় ভিক্টোরিয়ার দক্ষিণ দিকের গেটের কাছে একটি টিনের ছাউনির তলায় স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন দমদমের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা সুবীর পাল। হঠাৎই কাছের জমা জলে বাজ পড়ে। আর সঙ্গে সঙ্গেই তড়িদাহত হন ওই ছাউনির তলায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেকেই।

বাংলার আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে

ভিক্টোরিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ কর্মীরাই তাঁদের দ্রুত নিয়ে যান এসএসকেএমে। সেখানে চিকিৎসকেরা বচর পঁয়ত্রিশের সুবীরকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। বাকিদের চিকিৎসা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী সঙ্গীতার জন্মদিন উপলক্ষেই তাঁদের নিয়ে ভিক্টোরিয়ায় ঘুরতে এসেছিলেন সুবীর। স্বামীর মৃত্যুর কথা জানতে পেরে ভেঙে পড়েন সঙ্গীতা। সংবাদ মাধ্যমে দেখা যায় মৃত স্বামীর দেহ আগলে রয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, সুবীর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করতেন।

শুধু সুবীর নয়, এ দিন বাজের আওয়াজে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অপর্ণা মণ্ডল নামে এক মহিলার। বছর বাহান্নর অপর্ণার বাড়ি রিজেন্ট পার্ক এলাকায়। উঠোনে বসে থাকা অপর্ণার বাড়ির কাছেই বাজ পড়ে। সেই শব্দে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ দিন শুধু কলকাতায় নয়, বাজ পড়ে পুরুলিয়াতেও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

তবে, শ্রাবণের বিকেলে হঠাৎ এমন প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শহর কলকাতা। জল জমে যায় শহরের যত্রতত্র। শুরু হয় প্রবল জ্যাম। পুরসভার পাম্পিং মেশিন চালিয়েও সেই জল নামানো যায়নি রাত অবধি। শহরের প্রায় সব বড় রাস্তাতেই জল জমে গিয়েছিল এ দিন। এন্টালি, ঠনঠনিয়া, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, পার্কস্ট্রিট, এ জে সি বসু রোড, শরৎ বসু রোড, পার্ক সার্কাস, আলিপুর রোড, সাহাপুর রোড, শেক্সপিয়ার সরণি, এম জিরোডে গাড়ির গতি গিয়েছিল থমকে। বন্দর এলাকার সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোডের অবস্থাও ছিল তথৈবচ। লেক গার্ডেন্স, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, বিবাদী বাগ-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিকেলের পর থেকে উধাও হয়ে যায় বাস। ফলে কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে সাধারণ মানুষকে প্রবল ভোগান্তি পড়তে হয়।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on August 17, 2019 1:43 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন