বিজ্ঞাপন

পশ্চিমবঙ্গ উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কংগ্রেস শুধু শান্তিপুরে

পশ্চিমবঙ্গ উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির মমতার বিধায়ক পদে শপথের দিনই। এবার অবশ্য তারকা প্রার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গ উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির মমতার বিধায়ক পদে শপথের দিনই। এবার অবশ্য তারকা প্রার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। বরং দলের একনিষ্ঠ কর্মীদের উপরই ভরসা রাখল বঙ্গ বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে চমক দিতে গিয়ে পর পর টলিউড তারকাদের দলে নিয়ে প্রার্থী করে দেওয়া হয়েছিল। সকলেই প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছেন। নির্বাচনের আগে বিজেপি যে বিপুল পরিমাণ আশা নিয়ে বঙ্গ ভোটে লড়তে নেমেছিল তা ফলের পর পুরো বদলে গিয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা একে একে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। অনেকে পুরনো দলে ফেরার পথ ধরেছেন। মোহভঙ্গের মধ্যেই উপনির্বাচ‌নের চার কেন্দ্রে তাই তৃণমূল স্তরের নেতাদের উপরই ভরসা রাখল দল।

বিজেপির স্বপ্নের আসন শান্তিপুর। সেই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে নিরঞ্জন বিশ্বাসকে। তিনি বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাড়ি শান্তিপুরেই। তাই ঘরের ছেলের উপরই ভরসা রাখ দল। দিনহাটায় প্রার্থী করা হয়েছে অশোক মণ্ডলকে। এক সময় তিনি তৃণমূলে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁর ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে দিনহাটা জয় করতে চাইছে বিজেপি।

আর থাকল পড়ে খড়দহ ও গোসাবা। খড়দহে তৃণমূল প্রার্থী বড় ব্যবধানে জিতেছিলেন। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই অবস্থায় সেখানে তৃণমূলের হয়ে উপনির্বাচনে লড়ছেন হেভিওয়েট প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে ‌লড়বেন জয় সাহা। অর্জুন সিংয়ের ঘড়িষ্ঠ বলে পরিচিত জয় উত্তর শহরতলির বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক। গোসাবায় প্রার্থী করা হয়েছে পলাশ রানাকে। তিনি দীর্ঘদিন সুন্দরবন এলাকায় কাজ করছেন। এদিকে উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বামরা। মনে করা হচ্ছিল কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সমাপ্তি ঘটেছে। তবে এদিন কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল শান্তিপুরে একমাত্র প্রার্থী দেবে তারা বাকি তিন কেন্দ্রে বামকে সমর্থন করবে।

এদিকে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার দিনই ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি ঘোষণা করল বিজেপি। সেখানে গুরুত্ব পেল বাংলা। আমন্ত্রিত সদস্যের তালিকায় রাখা হয়েছে বিক্ষুব্ধ নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। যা বেল তাৎপর্যপূর্ণ। ৮০ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন বাংলার ছ’জন। তাঁরা হলেন মিঠুন চক্রবর্তী, দীনেশ ত্রিবেদী, ভারতী ঘোষ, অনিবার্ণ গঙ্গোপাধ্যায়। স্বপন দাশগুপ্ত এবং মুকুটমণি অধিকারী। কমিটির মাথায় থাকছেন প্রধানমন্ত্রী। সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদে বাংলা থেকে শুধু জায়গা পেলেন দিলীপ ঘোষ। বাংলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থেকে গেলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত মালব্য এবং অরবিন্দ মেনন।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন