বিজ্ঞাপন

West Bengal Covid আতঙ্ক, আলোচনায় নবান্ন থেকে স্বাস্থ্য দফতর

West Bengal Covid পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। গত দুটো ঢেউয়ের ভয়ঙ্কর দিন আজও তাজা সকলের মনে। অক্সিজেন, রক্তের জন্য হাহাকার দেখেছে এই শহর, জেলা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: West Bengal Covid পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। গত দুটো ঢেউয়ের ভয়ঙ্কর দিন আজও তাজা সকলের মনে। অক্সিজেন, রক্তের জন্য হাহাকার দেখেছে এই শহর, জেলা। হাসপাতালগুলোর বাইরে কাতাড়ে কাতাড়ে কোভিড রোগীর ভিড়। হিমশিম খেতে হয়েছে চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্ত সকলকে। আবারও তেমনই একটা সময় আসছে। তৃতীয় ঢেউ যে এ সময়ই আসবে তা অনেক আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ কর্তা জানিয়ে দিয়েছেন, এবারের কোভিডে ভেঙে পড়বে স্বাস্থ্য পরিষেবা। তার মধ্যেই দেশ তথা বাংলায় হুহু করে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ।

‘হু’ মনে করছে আছড়ে পড়বে ওমিক্রন ঢেউ। যা সুনামির আকাড় নেবে দ্রুত। সঙ্গে রয়েছে ডেল্টা। এক কথায় জোড়া ধাক্কা। আর তার মধ্যেই রাজ্যে এক সঙ্গে ওমিক্রন, ডেল্টার প্রকোপও বাড়ছে। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার গঙ্গাসাগরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তার কথা জানান।

বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর কোমর বেধে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যেই আলোচনায় বসেছেন দফতরের কর্তারা। কলকাতা-সহ সব জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। কোভিড পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ৪০ হাজার কোভিড পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে হাজারে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের কোভিড সংক্রমণ। যা আগামী কয়েক সপ্তাহেই দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ হাজারে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এটিই যে তৃতীয় ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়বে তা নিয়েও কোনও সন্দেহ নেই।

রাজ্য স্বাস্থদফতর সাধারণের জন্য বেশ কিছু নিয়ম বেধে দিয়েছে। বলা হয়েছে, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা অল্প দেখা দিলেও সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এখানেই শেষ নয়। প্রথম পরীক্ষার ফল যদি নেগেটিভ আসে তাহলেও স্বস্তির কোনও জায়গা নেই। ৮ দিন পর আবারও পরীক্ষা করাতে হবে। তখন যদি নেগেটিভ আসে তবেই মুক্তি। যদি রিপোর্ট পজেটিভ আসে তাহলে তাঁর জিনোম সিকোয়েন্সিং-এ পাঠাতে হবে সঙ্গে সঙ্গেই। ওমিক্রন পরীক্ষাও বাধ্যতামূলক। সেই দায়িত্ব থাকবে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরই। কোভিডের যাবতীয় নিয়ম মেনে চলার আর্জি জানানো হয়েছে। তার মধ্যে শারীরিক দুরত্ব মেনে চলা, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে তৈরি হবে কনটেইনমেন্ট জোন। খতিয়ে দেখে স্কুল বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সরকারি, বেসরকারি অফিসগুলোতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। লোকাল ট্রেন বন্ধ করার কথা না বললেও তা কমানোর ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে সবটাই গঙ্গাসাগর মেলার পর হবে সেটাও জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে নাইট কার্ফু নিয়েও দোটানায় রয়েছে নবান্ন। এই পরিস্থিতিতে আদৌ তা কাজে লাগবে কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন