বিজ্ঞাপন

ইয়াসের প্রভাব কতটা বাংলার উপর, সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

ইয়াসের প্রভাব বাংলাকে অনেকটাই ধাক্কা দিয়েছে। তবে শুরুতে যতটা ভয়ঙ্কর হবে বলে মনে করা হচ্ছিল তেমনটা হয়নি। কলকাতা শহরে ইয়াসের প্রভাব পড়ে‌নি বললেই চলে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ইয়াসের প্রভাব বাংলাকে অনেকটাই ধাক্কা দিয়েছে। তবে শুরুতে যতটা ভয়ঙ্কর হবে বলে মনে করা হচ্ছিল তেমনটা হয়নি। বিশেষ করে কলকাতা শহরে ইয়াসের প্রভাব পড়ে‌নি বললেই চলে। যদিও সকাল থেকে রোদ-বৃষ্টির খেলা চলছিল কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। তবে ইয়াস ও ভরাকোটালের যৌথ দাপটের প্রভাব পনেচে সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে। দীঘা, মন্দারমণি ছাড়া সুন্দরবন, পূর্ব, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তৃত অঞ্চল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন অঞ্চলে জল ঢুকে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১৫০-র কাছাকাছি বাধ।

একজনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রেও খবর। সেই ব্যাক্তি রিলিফ ক্যাম্পে ফিরে এসেও মাছ ধরতে বেড়িয়েছিলেন। আর তাতেই তিনি ডুবে যান। প্রায় ১৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে আগেই সরিয়ে ফেরা হয়েছিল। তবে এখনও পুরোপুরি ঝুঁকি কেটে যায়নি বাংলার উপর থেকে। ভরাকোটাল এখনও রয়েছে। থাকবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। যার ফলে জলস্তর বুধবার রাতের পর আবারও বাড়বে বৃহস্পতিবার। যেহেতু ইয়াসের ফলে এমনিতেই সমুদ্র ও নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়ে রয়েছে তার উপর জোয়ারের জল ঢুকলে তা ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। তাই দুটো দিন রাজ্যবাসীকে ঘরে থাকারই অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছেন যাঁরা গঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় বাস করেন তাঁরা যেন নিরাপদ স্থানে সরে যান। তাঁদের সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি। যাতে ঝড়-জলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মতো ঘটনা না ঘটে যার ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি এঁড়ানো যাবে। মঙ্গলবার সারারাত কন্ট্রোলরুমেই কাটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইয়াসে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার হিসেব করতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলন করে পুরো পরিস্থিতির কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন