বিজ্ঞাপন

Kumartuli 2022: কুমোর পাড়ায় পুজোর প্রস্তুতি

উত্তর কলকাতার কুমারটুলির (Kumartuli 2022) কথা নতুন করে আর কী বা বলার আছে। মাটির মূর্তি গড়তে বিখ্যাত এই অঞ্চল। বংশানুক্রমে মূর্তি গড়ে চলেছে এই অঞ্চলের কুমোররা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

সম্প্রীতি দত্ত: ‘আয় রে ছুটে আয় পুজোর গন্ধ এসেছে…’ বাংলা কালেন্ডারে আশ্বিন মাস মানেই বাংলা জুড়ে উৎসবের আবহ তৈরি হয়ে যায়। তার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শপিং। এছাড়া ঘর পরিষ্কার থেকে শুরু করে নিজেদেরকে আরও একটু সুন্দর করে তুলতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে মানুষ। কিন্তু যার জন্য এতো আয়োজন সেই প্রতিমা তৈরির কাজ আরও অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। উত্তর কলকাতার কুমারটুলির (Kumartuli 2022) কথা নতুন করে আর কী বা বলার আছে। মাটির মূর্তি গড়তে বিখ্যাত এই অঞ্চল। বংশানুক্রমে মূর্তি গড়ে চলেছে এই অঞ্চলের কুমোররা। তাঁদের হাতের ছোঁয়ায় মাটির মূর্তি যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। তাঁদের বানানো এই মূর্তি শুধুমাত্র কলকাতাতেই নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় বিদেশেও।

শোভাবাজার এবং বাগবাজারের মাঝের বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থিত কুমোরদের পাড়া। রাস্তার ধারে অলিগলিতে তাঁরা মূর্তি বানান সারা বছর ধরে। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি কেমন চলছে তা দেখার জন্যই গনেশ চতুর্থীর আগের দিন চলে গিয়েছিলাম কুমারটুলিতে। দুর্গাপ্রতিমা নির্মাণের সঙ্গে চলছে বিশ্বকর্মা। কারণ দুর্গাপুজোর আগেই হয় বিশ্বকর্মা পুজো। এখন বেশিরভাগ পুজোই মহালয়াতে উদ্ধোধন হয়ে যায়, তাই কুমোরদের হাতে সময় খুবই কম। কোথাও মা-এর একচালা প্রতিমা, কোথাও আলাদাভাবে লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক বানানোর কাজ চলছে।

একদম ছোটো থেকে বিশাল আকারের মূর্তি— সব রয়েছে এই কুমোরটুলিতে। বড় মূর্তি চলে যাবে বিভিন্ন বড় পুজোতে। আর একচালা ঠাকুর মূলত বাড়ির পুজোর জন্য। এখানে যে শুধু মূর্তি বানানো হয় তা নয়, বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তৈরি করা মূর্তি নিয়ে বিক্রির জন্যও এখানে ঘাঁটি গাড়েন কারিগররা। কারণ সকলেই জানেন, মূর্তি কিনতে এখানেই হাজির হবে মানুষ। মুর্তি তৈরির পাশাপাশি ঠাকুর সাজানোর সমস্ত জিনিসও এখানে পাওয়া যায়। সব কিছু নিয়ে এই মুহূর্তে সাজসাজ রব গোটা এলাকা জুড়ে।

অনেক মূর্তিই অর্ডারের আবার অনেকে কুমোরটুলিতে গিয়ে পছন্দ করে মূর্তি কিনে নিয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে। কেমন মূর্তি কেনাবেচা হবে তার ওপর নির্ভর করে চলে তাঁদের সংসার। তাই পুজোর আগের সময়টা তাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই এলাকার প্রতিমা শিল্পীর খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। সাধারণত বাঙালির ১২মাসে ১৩ পার্বণ তাই সারা বছর ধরেই চলে বিভিন্ন মূর্তি তৈরির কাজ। কিন্তু উৎসব প্রিয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজা। আর এই পুজোকে ঘিরেই সব থেকে বেশি রোজগার করেন কুমোরটুলির শিল্পীরা।

আর হাতে গোনা মাত্র ক’দিনের অপেক্ষা তারপরই মা মর্তে অবির্ভূত হবেন তাঁর পুরো পরিবার নিয়ে। তাই এখন এক মুহূর্ত সময়ও নষ্ট করতে চান না মৃত শিল্পীরা। গত দু’বছর করোনার জন্য অন্যান্য ব্যবসার মত মৃৎশিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু আবার সুদিন ফিরেছে। অনেক বিক্রির লক্ষ্যে অশায় বুক বাধছে গোটা কুমোরটুলি।

ছবি—লেখক

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন