বিজ্ঞাপন

কানে আরশোলা, অনেক চেষ্টার পর বেরলো ৯ দিন পর

বিজ্ঞাপন

কানে আরশোলা

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কানে আরশোলা ঢুকে পড়েছিল। রাতে ঘুমানোর সময়।

কিন্তু, কোনও ভাবেই সেই ঢুকে পড়াটা টের পাননি কেটি হলি।যখন বুঝতে পারলেন, কানে কিছু একটা ঢুকেছে, তখন মাঝ রাত। ঘুম থেকে ধড়মড়িয়ে উঠে পড়েছিলেন। কানের ভেতর একটা ঠান্ডা অনুভূতি। মনে হয়েছিল, কেউ একটা বরফের টুকরো ঢুকিয়ে দিয়েছে। আবার সেই টুকরোটা নড়েচড়েও বেড়াচ্ছে কানের ভেতর। একটি ছন্দে যেন সেটা ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে। যেতে চাইছে কানের আরও গভীরে।

সঙ্গে সঙ্গেই বাথরুমে ছুটে যান কেটি। তুলোর কাঠি দিয়ে আস্তে আস্তে কানের ভিতর ঘুরিয়ে বরফের টুকরোটাকে বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, কয়েক বারের চেষ্টায় দু’একটা টুকরো বেরিয়ে আসে। আদৌ তা বরফ নয়। বাদামী রঙের ছোট ছোট দুটো পা। এই প্রথম বার কেটি বুঝতে পারলেন, ওই পা আরশোলার। কানে আরশোলা ঢুকেছে! এই আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকেন তিনি।

কেটির চিৎকারে ঘর থেকে বাথরুমে ছুটে আসেন তাঁর স্বামী জর্ডন। পাশেই শুয়ে ছিলেন। কিন্তু, কিছু টের পাননি। বাথরুমে এসে আগে মোবাইলের ফ্লাশ লাইট দিয়ে কেটির কানের ভিতরটা দেখেন। পরিষ্কার বোঝা যায়, কেটির কানে আরশোলা ঢুকে পড়েছে। সেটি রীতিমতো নড়াচড়াও করছে।

মুকুল রায় বললেন, জেলা পরিষদ জিতলেই সকলকে স্মার্টফোন

বছরখানেক আগেই ফ্লোরিডার এই বাড়িটি কিনেছিলেন ওই দম্পতি। প্রথম থেকেই বাড়িতে পোকা-মাকড়ের উপদ্রপ ছিল। কয়েক দিন আগে কীটনাশক এবং মাকড় নিয়ন্ত্রক সংস্থার লোকজন তাঁদের বাড়িতে রাসায়নিক স্প্রে করে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও কী ঘরে আরশোলা থেকে গিয়েছিল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না জর্ডন। তবুও তিনি ওই তুলোর কাঠি দিয়ে আরশোলাটা বের করার চেষ্টা করেন। দুটো পা ছাড়া আর কিছুই অনেক চেষ্টাতেও বের করতে পারেননি তিনি। আরশোলাটি কানের আরও ভেতরে চলে যায়।

এর পরেই স্ত্রীকে তিনি গাড়ি করে কয়েক কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ইমার্জেন্সি বিভাগে কেটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত নার্স তাঁর কানে একটি অ্যানেসথেটিক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, যাতে আরশোলার মৃত্যু হয়। তখনও কানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল আরশোলাটি— এমনটাই একটি ম্যাগাজিনে লিখেছেন কেটি হলি। এর কিছু ক্ষণ পর আরশোলার দেহের একটি অংশ এবং পাখনা ও পা সমেত কিছু জিনিসপত্র তাঁর কান থেকে বেরোয়।

মিনিট ২০ পর স্বামী-স্ত্রী বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু, কিছুতেই কেটির কানের অস্বস্তি যাচ্ছিল না। সব সময় মনে হচ্ছে, কিছু একটা যেন কানের ভেতরে রয়ে গিয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল ওই ঘটনার ৯ দিনের মাথায় তিনি ফের তাঁর গৃহচিকিৎসকের কাছে যান। তাঁকে দিয়ে কান পরীক্ষা করানোর পর দেখা যায়, কানের ভেতর মৃত আরশোলার অনেকটা অংশই রয়ে গিয়েছে। স্প্রে করে সেই অংশ সব বের করা হয়। এখন তিনি ভাল আছেন বলেই ওই ম্যাগাজিনের লেখায় জানিয়েছেন কেটি।

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন