বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হোমিওপ্যাথি কোন পথে হাঁটছে, জেনে নিন

করোনাভাইরাস আমাদের জীবনে এক নয়া অধ্যায়— যা আমাদের আজ নতুন করে লড়াইয়ের ময়দানে নিয়ে এসেছে।, তার বিরুদ্ধে কী ভাবে লড়াই করবেন লিখলেন ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ী।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস আমাদের জীবনে এক নয়া অধ্যায়— যা আমাদের আজ নতুন করে লড়াইয়ের ময়দানে নিয়ে এসেছে। লড়াই করতে গেলে তো রসদ চাই, তা নিয়ে লিখলেন বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যপ্রশিক্ষক ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ী


বাঁচার জন্য আমাদের যে প্রতিনিয়ত লড়তে হবে, সে কথা তো ডারউইন কবেই বলে গিয়েছেন। লড়তে না পারলে ভাইরাস-ব্যাকটিরিয়া আমাদের সর্ব সময় গিলে ফেলবে। তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে তো রসদ চাই। সেই রসদ কিন্তু আমাদের প্রতিনিয়ত জোগান দিয়ে যেতে হবে শরীরকে।

প্রথমে বলি এই সময়টায় কী কী খাওয়াদাওয়া করতে হবে। দুর্বল শরীরের জন্য প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট সব কিছুই কিন্তু প্রয়োজন। দরকার প্রচুর জল খাওয়া। সবুজ আনাজপাতি, ফল, যে কোনও একটি প্রোটিন রাখুন রোজকার খাবারে। তার সঙ্গে মিষ্টি ও ফ্যাট খেতে পারেন বুঝেশুনে। আসলে অনেকেরই শরীরে হাড়ের ওজন, পেশির ওজন বেশি হতে পারে। তাই শারীরিক ওজন বেশি হলে এবং কোনও অসুস্থতা না থাকলে, কখনও তা চিন্তার বিষয় নয়।

বেসাল মেটাবলিক রেট (বিএমআর)— শরীর যখন বিশ্রামে থাকে তখন তার নানা ধরনের কাজ চালানোর জন্য যত ক্যালরি লাগে।

বড়ি মাস ইনডেক্স (বিএমআই)— উচ্চতা অনুযায়ী যে ওজন আদর্শ।

তবে এই দুটো কিন্তু শুধুমাত্র প্যারামিটার নয়, কারণ এক এক জনের ক্যালোরি বার্ন হওয়ার হার আলাদা।

সুস্থতার প্রথম পাঠ যেমন খাদ্য ও পুষ্টি, তেমনই দ্বিতীয় পাঠ কিন্তু ওযুধ। আজ আপনাদের জন্য বেসিক কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধের কথা বলব।

কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক কিন্তু এই ওষুধগুলোকে করোনাভাইরাস চিকিৎসার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে। এত দিন শুধুমাত্র একটি ওষুধ ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম’-এর কথা আমরা শুনছিলাম। কিন্তু শুধুমাত্র একটি ওষুধ কি চিকিৎসার জন্য শেষ কথা হতে পারে? প্রশ্ন তুলেছিল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সকলে। লক্ষণভেদে বিভিন্ন রোগের, রোগীর বিভিন্ন ওষুধের কথা জানিয়েছিল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা মহল। সেখানেই ওঠে ‘জেনাস এপিডেমিকাস’-এর কথা। অর্থাৎ আমরা রোগের নয়, রোগীর লক্ষণের চিকিৎসা করবো।

১) ব্রায়োনিয়া আলবা: হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা একে পলি ক্রেস্ট ওষুধ বলেন। অর্থাৎ এর বহু রোগ ভাল করার ক্ষমতা আছে। ব্রায়োনিয়া প্লুরো নিউমোনিয়ায় ফলপ্রসূ।

২) এন্টিম টার্ট: শিশুদের ক্যাপিলারি ব্রংকাইটিস, হাঁপানির টান, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি, বুক সাঁইসাঁইঘড়ঘড় করছে এমন অবস্থায় ব্যবহার করা হয়।

৩) ফসফরাস: ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, গলায় সুড় সুড় করা কাশি, শুষ্ক কাশি, বেদনাহীন উদারাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

৪) টিউবারকুলিনাম: শ্বাসযন্ত্রের পীড়া, সর্দি-কাশি, ঘুষঘুষে জ্বর, কাশির সঙ্গে রক্ত, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং যক্ষার ইতিহাস থাকলে এই ওষুধটি দেওয়া হয়।

৫) জেলসিমিয়াম: ডালনেস, ডিজিনেস, ড্রাউজিনেস থাকলে এই ওষুধটি দেওয়া হয়। সর্দি-কাশি, টন্সিলের ব্যথা, অত্যন্ত শুষ্ক কাশিতে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধের রোগীর একটুতেই ঠান্ডা লেগে যায়। সামান্য ঋতু পরিবর্তনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বল্প বিরাম জোরে এই ওষুধটি উপকারী।

তবে এই ওষুধগুলো অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে হবে। এবং কী মাত্রায় বা ডোজে খেতে হবে তা আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

(এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগে www.justduniya.com/স্বাস্থ্য)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on June 11, 2020 4:44 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন