বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে মায়োজোম কাজ করছে কোনও! খুঁজে বার করতে হবে

করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে মায়োজোম (Coronavirus And Myosome) কাজ করছে কোনও, তা নিয়েই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন এই ব্যাপারে। বিষয়টা ঠিক কী?
বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে মায়োজোম কাজ করছে কোনও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে মায়োজোম কাজ করছে কোনও, তা নিয়েই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন এই ব্যাপারে। বিষয়টা ঠিক কী, জানাচ্ছেন বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যপ্রশিক্ষক ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ী


হোমিওপ্যাথির আবিষ্কারক হ্যানিম্যান ওষুধ আবিষ্কারের পর চিকিৎসা করে রোগকে আরোগ্য করতে লাগলেন। কিন্তু সেই রোগ যখন বার বার ফিরে আসতে লাগল তখন তিনি দেখলেন, সেই ওষুধে আর ভাল কাজ হচ্ছে না। এতে তিনি সন্ধিগ্ধ হলেন। তাই তিনি এই ধরনের জটিল রোগী পেলে তাঁর আদি থেকে বর্তমান লক্ষণ অতি যত্ন সহকারে শুনতেন।

এ ভাবে পুরাতন ও জটিল রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে তিনি তিন ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেলেন— সোরা, সাইকোটিক এবং সিফিলিস। অর্থাৎ প্রত্যেক রোগের রোগীর মায়োজোমটিকে খুঁজে নেওয়া ভীষণই জরুরি। যদিও এই বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাজ নয়। একমাত্র চিকিৎসকরাই পারেন এই ব্যাপারে আলোকপাত করে রোগীর সঠিক ওষুধটি নির্ণয় করতে।

করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও সে রকমই কোনও মায়াজোম কাজ করছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন এই ব্যাপারে। ঠিক এইখানেই টিউবারকুলার মায়াজোম ব্যাপারে না বললেই নয়। সুরা সিফিলিসের সংমিশ্রণে এইমাত্র জমির সৃষ্টি হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। লক্ষণ থাকে খুবই দুর্বলতা, জ্বর এবং তার সঙ্গে এডিনয়েড গ্রন্থীর বৃদ্ধি। উদারাময়, প্লুরিসি। খেতে না পারা ও সবিরাম-অবিরাম জ্বর। চোখে অসম্ভব জ্বালা করা এবং তার সঙ্গে কৃত্রিম আলো সহ্য করতে না পারা। সঙ্গে খাবারের মধ্যে গন্ধ না পাওয়ার লক্ষণ থাকে।

এ সকল লক্ষণ করোনা ইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাওয়া যায়। সেই জন্য এক জন সুযোগ্য এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকই পারে‌ন রোগীর এই সব লক্ষণের সঠিক নির্ণয়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় মানসিক লক্ষণের মূল্য সর্ব শীর্ষে। তাই মায়াজোম সমূহের লক্ষণগুলি একত্রে উপস্থিত করলে প্রত্যেক মায়াজোমের মানসিক বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ আরও ভাল, সুন্দর ও সুস্পষ্ট হয়। অ্যাকিউট রোগী যাদের ক্যাপিলারি ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া মেনিনজাইটিস এবং ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়া ঘটিত রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রেও তাই আজ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সমান প্রাসঙ্গিক।

চিকিৎসায় জটিলতা প্রতি বছর উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। অনেক চিকিৎসক যে কোনও প্রকারে উপশম দেওয়া বা চাপা দেওয়ার চিকিৎসার আশ্রয় নেন এটা তার অন্যতম কারণ। রোগীদের ক্ষেত্রেও তাই বিশ্বের নতুন ভাইরাস বর্ণনা যে ভয়ঙ্কর অভিশাপ নিয়ে হাজির হয়েছে তার পেছনে অপচিকিৎসা বা সচেতনতার অভাব সুস্পষ্ট।

(এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগে www.justduniya.com/স্বাস্থ্য)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on June 17, 2020 3:49 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন