বিজ্ঞাপন

নিপাহ্ ভাইরাস সংক্রমণ এবং তার প্রতিকার: কী বলছেন ডাক্তারবাবু

বিজ্ঞাপন

নিপাহ্ ভাইরাস সংক্রমণ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

ডা: সুরজিৎ দেবনাথ


গত কয়েক সপ্তাহ যে রোগটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং কিছুটা গুজবও ছড়িয়েছে, সেই বিষয়টির দিকেই আজ আমরা একটু আলোকপাত করব। ফলে, আমরাসজাগ থাকব কিন্তু অকারণ বিচলিত হব না।

নিপাহ্ একটি ভাইরাসঘটিত রোগ যা মানুষের শরীর থেকে মানুষ বা অন্য প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের শরীরে সরাসরি সংক্রমণ ঘটতে পারে। রোগটি প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার একটি গ্রাম সুঙ্গাই নিপাহ্‌তে। বাদুড় বা শুয়োর এই রোগের বাহক।

রোগের লক্ষণ:
১. সংক্রমণের ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
২. প্রাথমিক ভাবে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, ঝিমুনি ভাব স্পষ্ট লক্ষ করা যায়।
৩. এর পর আসে স্নায়বিক লক্ষণ সমূহ… যেমন মানসিক বিভ্রান্তি, বিচারবুদ্ধির নিষ্ক্রিয়তা। মস্তিষ্কের প্রদাহ (এনসেফালাইটিস) এর প্রধান কারণ।

 

রোগ নির্ণায়ক পরীক্ষা:
প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষা— থ্রোট ও নাজাল সোয়াব, সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড, প্রস্রাব ও রক্তের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা।
পরবর্তী পর্যায়ে ELISA (IgH and IgM) পরীক্ষা করা হয়।

 

রোগ প্রতিরোধের উপায়:
১. সংক্রমিত অঞ্চলের মানুষকে বাদুড়, শুয়োরের থেকে দূরে থাকতে হবে।
২. খেজুর, তালের রস না খাওয়া।
৩. আংশিক খাওয়া ফল না খাওয়া।
৪। যে সব কুঁয়ো থেকে বাদুড় জল খায়, সেই কুঁয়োর জল না খাওয়া যাবে না।

 

হোমিওপ্যাথিক প্রতিষেধক:
প্রিভেনটিভ মেডিসিন
১. প্রথম পাঁচ দিন— বেলেডোনা ২০০/ দিনে দু’বার
২. ষষ্ঠ দিন থেকে তিন দিন অন্তর ১ ডোজ করে বেলেডোনা ২০০, যত দিন না রোগটি (এপিডেমিক) দূরীভূত হয়।

 

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধগুলি খাওয়া যেতে পারে।
আর্সেনিক অ্যালবাম, বেলেডোনা, ব্যাপটিসিয়া, ব্রায়োনিয়া, আর্নিকা, ইউপ্যাটোরিয়াম, জেলসিমিয়াম এবং রাস টক্স।

 

গরমকালের রোগ এবং তার হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার

0
0

This post was last modified on June 1, 2018 9:04 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন