বিজ্ঞাপন

পুজোর আয়োজন করোনা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পুজোর আয়োজন করোনা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলতে পারে, উৎসবের এই আয়োজন কতটা করোনা-বিপদ ডেকে আনতে পারে রবিবার সেই সতর্কতাই শোনা গিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পুজোর আয়োজন করোনা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলতে পারে, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এই সতর্কবার্তা শোনালেন। এমনিতেই দেশের সর্বত্র পুজোর আয়োজন জোরকদমে চলছে। তা সে প্রতিমা তৈরি হোক বা প্যান্ডেল, নতুন জামাকাপড় কেনাকাটা হোক বা পুজো কমিটিগুলোর প্রস্তুতি। উৎসবের মরসুম যে এসে গিয়েছে, তা টের পাইয়ে দিচ্ছে এই সব অনুষঙ্গ। কিন্তু গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও সজীব। কাজেই উৎসবের এই আয়োজন কতটা করোনা-বিপদ ডেকে আনতে পারে এ দিন সেই সতর্কতাই শোনা গিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখে।

হর্ষ বর্ধন দেশবাসীকে বাস্তবের দিকে তাকিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘বড়সড় জমায়েত করে নিজের বিশ্বাস বা ধর্মের প্রতি আপনারা আস্থাকে প্রমাণ করার কোনও প্রয়োজন নেই। ঈশ্বরের কাছে বাড়িতে বসেই প্রার্থনা করতে পারেন। আমার পরামর্শ, বাড়িতে বসে নিজের পরিবারের সঙ্গে উৎসব উদ্‌যাপন করুন। করোনার কথা মাথায় রাখুন, সে কিন্তু এখনও তার তাণ্ডব থামায়নি।’’


করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন

আজই গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লাখ পেরিয়েছে। আমেরিকার থেকে সামান্য পিছনে। সে দেশে এখনও পর্যন্ত ৭৬ লাখ মানুষ করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন। আমেরিকার থেকে মাত্র ৬ লাখ পিছনে রয়েছেন ভারত। যে হারে প্রতি দিন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এই ৬ লাখ পার করতে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা।

আর তেমনই একটা সময়ে দুর্গাপুজো, দশেরা, দীপাবলি, ছটপুজো আসছে— একেবারে উৎসবের আবহ। উৎসবের মরসুমে সাধারণ মানুষ কোভিড-সুরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধিনিষেধ উপেক্ষা করবেন, আর তাতেই করোনা-গ্রাফ এ দেশে আরও উঁচুতে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি কেরলে ওনাম উৎসব আয়োজিত হওয়ার পর সে রাজ্যে করোনা-গ্রাফ আচমকা বিপুল ভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গিয়েছে। আর সেখান থেকেই পুজোর আয়োজন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্য-প্রশাসন। বারে বারেই তাই সতর্ক করা হচ্ছে।

পুজোর মরসুম সবে শুরু হয়েছে, এখনও উৎসব শুরু হয়নি। তার আগেই রাস্তাঘাটে, শপিংমলে, দোকানে-বাজারে ঠাসাঠাসি ভিড় হচ্ছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের শপিং-চিত্র বড়সড় আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভিড়ের একটা বড় অংশের মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মও কার্যত শিকেয় উঠেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আশঙ্কা, দীপাবলির আগে একই ছবি দেখা যাবে দিল্লি এবং উত্তর ভারতের সর্বত্র। এ দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘‘উৎসবের এই মরসুমে আমরা যদি কোভিড-বিধি এ ভাবে উপেক্ষা করি, বিধিনিষেধ সম্পর্কে উদাসীন থাকি, তা হলে পুজোর পর গোটা দেশের করোনা-চিত্র ভয়ানক হয়ে উঠবে। আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ হবে পরিস্থিতি।’’

জীবন বিপন্ন করে উৎসব পালনের কথা কোনও ধর্ম বলে না। এ কথা মনে করিয়ে হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘‘কোনও ধর্মের কোনও গুরুই নিজের জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে উৎসবের আয়োজন করতে বলেন না। কোনও ধর্মের ঈশ্বরও বলেন না, বড় প্যান্ডেলে গিয়ে প্রার্থনা করতে হবে। আপনি যদি জানেন বাইরে আগুন লেগেছে, তা হলে কি ধর্মের নামে আপনি বাইরে যাবেন ওই আগুনের মধ্যে? সেই উৎসবের মানে কী?’’

আজ সকালেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, দেশ আজ ‘ল্যান্ডমার্ক মাইলস্টোন’ ছুঁয়ে ফেলেছে। তথ্যানুযায়ী ৬০ লাখ মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও কয়েক দিন ধরে কম। আগের মতো ৯০ হাজারের বেশি নয়, বরং সেটা ৭২ থেকে ৭৪ হাজারের মধ্যে থাকছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৪,৩৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লাখ ৫৩ হাজার ৮০৬। ওই সময়ের মধ্যে মারা গিয়েছেন ৯১৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে করোনায় মারা গিয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৩৩৪ জন। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৯ লাখের নীচে।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন