বিজ্ঞাপন

শীতে শ্বাসকষ্ট হলেই সাবধান, করোনা থেকে নয় তো! কী বলছেন ডাক্তার

শীতে শ্বাসকষ্ট হয় অনেকেরই, নানাবিধ কারণে। আমাদের দেশে এমনিতেই শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেশি। কিন্তু করোনা-কালে সব কিছুকেই সন্দেহের চোখে দেখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

শীতে শ্বাসকষ্ট হয় অনেকেরই, নানাবিধ কারণে। আমাদের দেশে এমনিতেই শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেশি। কিন্তু করোনা-কালে সব কিছুকেই সন্দেহের চোখে দেখতে হবে। লিখলেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যপ্রশিক্ষক ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ী


করোনাভাইরাস নিয়ে গোটা পৃথিবী সতর্ক। সচেতনও। প্রতিষেধক নিয়েই এখন চর্চা। কবে আসবে, কী ভাবে নিতে হবে, ইত্যাদি। কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের ভয়টা ইদানীং অনেকটা কেটে গিয়েছে। ক্রমশ সকলে কেমন যেন একটু বেশি সাহসী হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এই কাজটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।

আমাদের এই গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গরমকালে অনেক রোগীই ভাল থাকেন। যাঁরা ঠান্ডার নানা সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য গরমকালই তো ভাল। বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের রোগী যাঁরা, তাঁরা এই সময়টায় মূলত ভালই থাকেন। কিন্তু শীত এলেই সমস্যা বাড়ে। এই সময় বহু রোগীই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বুকে একটা চাপ বোধ অনুভূত হয়। বুকের ভিতর ঘড়ঘড়ে আওয়াজ শোনা যায়। তাঁদের বলি খুব, খুব সাবধান।

শীতকালে এমনিতেই কিছু রেসপিরেটরি ভাইরাসের প্রভাব বেশি দেখা যায়। যেগুলো ঠান্ডা লেগেই হয়। তিন ধরনের অ্যাস্থমা আমরা এই সময় দেখতে পাই। ১) nocturnal’s অ্যাস্থমা, ২) এক্সারসাইজ induced অ্যাস্থমা, ৩) অ্যালার্জি অ্যাস্থমা। অ্যাস্থমার উপসর্গ যে কোনও বয়সে যখন তখন দেখা দিতে পারে। আবার ৫০-৬০ বা তার বেশি বয়সেও শুরু হতে পারে অ্যাস্থমা। তাই শুধু ছোট বয়সেই নয়, এই রোগটি বড়দের শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে।

করোনা সংক্রমণের মূল লক্ষণই শ্বাসকষ্ট। ‘ওয়ার্ল্ড হেল্‌থ অর্গানাইজেশন’ (হু) আগেভাগেই সাবধান করে দিয়েছে যে, শীতকালে ভারতে করোনা-রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। এই আশঙ্কা কিন্তু অমূলক নয়। ভারতে এমনিতেই শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, টিবি-তে ভোগার সংখ্যা বেশি। এ ছাড়াও দূষণজনিত সমস্যা দেশের বড় শহরগুলোতে খুবই বেশি। এর থেকে রেহাই নেই বাচ্চাদেরও। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমেরিকায় প্রায় ২ কোটি ২০ মানুষ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যে প্রায় ৬০ লাখের বয়স ১৮ বছরের নীচে। অতএব, সাবধান থাকতে হবে আপনার বাচ্চাটিকে নিয়েও। সাবধান হতে হবে খাবার থেকে অ্যালার্জি হয় যাঁদের, তাঁদেরও। মনে রাখতে হবে, কোভিড তাঁদের উপরেই সহজে হামলা চালাতে পারে যাঁদের ঠান্ডা লাগা বা ঠান্ডাজনিত রোগের প্রবণতা বেশি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।

তাই শীতে শ্বাসকষ্ট হলে সাবধান হতে হবে আরও বেশি করে। কারণ, শ্বাসকষ্টটা করোনার কারণে নয় তো? চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। করাতে হবে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা। বুকের এক্সরে করাতে হতে পারে। সঙ্গে কোভিড-পরীক্ষা তো অবশ্যই। বাড়িতে কিছু হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রাখুন। যেমন— ব্লাটা ওরিয়েন্টালিস্ট, এন্টিম টার্ট, সেনেগা, লবেলিয়া ইনফ্লাটা, অ্যাসপিডোজপার্মা ইত্যাদি। তবে ওষুধগুলো অবশ্যই লক্ষণ ভেদে ডাক্তারের পরামর্শে খেতে হবে।

(এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

+1
0

This post was last modified on December 12, 2020 2:58 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন