বিজ্ঞাপন

অনাস্থা প্রস্তাব আজও ডুবল মুলতুবির কাদায়

বিজ্ঞাপন

লোকসভা ফের মুলতুবি হয়ে গেল মঙ্গলবার।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: যথা পূর্বং, তথা পরং! পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র পাল্টাল না। ফলে, তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা বা ভোটাভুটি তো দূরস্থা‌ন, সংসদে সে প্রস্তাব উত্থাপিত পর্যন্ত হল না।

গত শুক্রবার সংসদের অধিবেশন বারে বারে মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। শনি, রবি ছুটির পর ফের সোমবার সংসদ বসে। কিন্তু, দিনের শুরুতেই এইআইএডিএমকে-র সাংসদদের তুমুল বিক্ষোভে শুরু হয়েও লোকসভা মুলতুবি হয়ে যায়। টিডিপি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিতই হয়নি।

ঠিক ছিল মঙ্গলবার ওই প্রস্তাব উত্থাপিত হবে। তাই দুই দলের তরফেই হুইপ জারি করে তাদের সাংসদদের হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো সবাই হাজির হলেও এ দিনও ফের সংসদে হইহট্টগোল শুরু হয়। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন অধিবেশন মুলতুবি করে দেন। বুধবার ফের তা বসার কথা। আর সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে টিডিপি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস।

এই দুই দলকে সমর্থন করবে বলে বসে রয়েছে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, এআইএমআইএম এবং আরও কিছু দল। ইতিমধ্যেই তারা জানিয়ে দিয়েছে যে, অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবে।

মসুলে অপহৃত ৩৯ ভারতীয়ই মৃত: সুষমা

এআইএডিএমকে, বিজু জনতা দল এবং টিআরএস ভোটাভুটিতে অংশ নেবে না। শিবসেনাও জানিয়েছে, তারা নিরপেক্ষ অবস্থান নেবে। অর্থাৎ কোনও শিবিরকেই সমর্থন করবে না তারা।

কিন্তু, বিজেপি-র তাতে কিছুই যায় আসে না। কারণ, লোকসভায় তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠ। এনডিএ জোটসঙ্গিদের ধরলে সংখ্যাটা ম্যাজিক ফিগারের থেকে অনেক বেশি। তবুও, গত চার বছরে এই প্রথম বিজেপি-র বিরুদ্ধে অনাস্থা। সেটা তাদের পক্ষে কোনও ভাবেই সুখকর নয়।

চিৎকারে মুলতুবি সংসদ, অনাস্থা-অস্বস্তিতে বিজেপি

ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল-সহ বিজেপি বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দল ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকে তারা সমান দূরত্ব বজায় রাখবে বলেও প্রাথমিক বাবে টিক হয়েছে। এ নিয়ে সোমবারই কলকাতায় বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। মমতার সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথা হয়ে টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডুরও।

কাজেই পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে বলাই যায়, বিজেপি-র জন্য এটা খুব একটা সুখের সময় নয়। গুজরাতে ফল আশাপ্রদ হয়নি। ত্রিপুরায় জয়ের পর উত্তরপ্রদেশে উপনির্বাচনের গোহারা হারতে হয়েছে বিজেপিকে। এমন সময় অনাস্থা প্রস্তাবের কাঁটা বড়ই বেদনায় ফেলেছে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীদের।

0
0

This post was last modified on March 20, 2018 6:57 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন