বিজ্ঞাপন

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে না চাওয়ায় খুন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক, মুম্বই
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

সোশ্যাল মিডিয়া কখনও মিলিয়ে দেয় হারিয়ে যাওয়া সম্পর্ককে। তৈরি করে নতুন নতুন সম্পর্ক। আবার কখনও জীবনও কেড়ে নেয় এ ভাবে। ঠিক ঠেমনটা হল মুম্বইয়ের ২০ বছরের মেয়েটির ক্ষেত্রে। ফেসবুকে সদ্য বন্ধুত্ব হয়েছিল নালাসোপাড়ার ২৫ বছরের হরিদাস নিরগুদের সঙ্গে ভাসির অঙ্কিতা মোরের। এর পরই দু’জনে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। রবিবার রাত ৭টা নাগাদ অঙ্কিতাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় একটি বাড়ির মধ্যে।

পুলিশ জানিয়েছে, হরিদাসের সঙ্গে দেখা করতেই গিয়েছিলেন অঙ্কিতা। যাঁদের সদ্য ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়েছিল। সেই ব্যাক্তি অবশ্য পুলিশের জেড়ার সামনে মেনে নিয়েছে শারীরিক সম্পর্ক করতে রাজি না হওয়ায় সে এই খুনটি করেছে। যে ফ্ল্যাট বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে সেখানকার অন্য বাসিন্দারাই অঙ্কিতার দেহ সিড়িতে পড়ে থাকতে দেখেন। অলকাপুরী অঞ্চলের চারতলা ওই বিল্ডিংয়ের নাম ‘তানিয়া মোনার্ক’।

সন্তোষ গৌড়া নামের ওই ব্যাক্তি বিল্ডিংয়ের বাকিদের সেই খবর জানান। তাঁরাই পুলিশে ফোন করে খবর দেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছিল সেই মহিলার। ওই বিল্ডিংয়ের কেউ তাঁকে না চেনায় সমস্যায় পড়ে সকলে। কিন্তু জানা যায় একতলার কোনও এক ফ্ল্যাটে এসেছিলেন অঙ্কিতা। বিল্ডিংয়ে সিসি টিভি ক্যামেরা না থাকায় কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু হরিদাসের ফ্ল্যাটের রক্তের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। সেই ব্যাক্তি অবশ্য এও স্বীকার করে নিয়েছে, জুতোর ফিতে দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে অঙ্কিতাকে মেরেছে সে। অঙ্কিতার মোবাইল ও ব্যাগও পাওয়া গিয়েছে ওই ব্যাক্তির ঘর থেকে।

সেই ব্যাক্তি তাঁর বোনের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে থাকত। কিন্তু বোন সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধেবেলা মেয়েটি ওই ব্যাক্তির বাড়িতে আসেন। এটাই ছিল তাঁদের প্রথম দেখা। প্রথম দেখাতেই শারীরিক সম্পর্ক করতে চেয়েছিল ওই ব্যাক্তি। কিন্তু রাজি হয়নি অঙ্কিতা এবং সেখান থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন। তখনই রেগে এই পথ বেছে নেয় ওই ব্যাক্তি। এর পর অঙ্কিতার দেহ সিড়িতে এনে ফেলে দেয় সে।

0
0

This post was last modified on February 20, 2018 5:17 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন