বিজ্ঞাপন

ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ৩৬-এ, করোনায় মৃত্যু বেঁচে যাওয়া শতাধিক মানুষের

ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ৩৬ বছর (36 Years Bhopal Gas Leak) আগের ইতিহাস তবুও বড্ড তাজা। আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রে চলে এল করোনাকালে। যদিও তা নিয়েও রয়েছে অনেক প্রশ্ন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ৩৬ বছর আগের ইতিহাস তবুও বড্ড তাজা। আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রে চলে এল করোনাকালে। সেই সময় বেঁচে গিয়ে যাঁরা ভাবছিলেন, সত্যিই তাঁরা ভাগ্যবাণ এবার তাঁদেরই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। তালিকাটা নেহাৎই কম নয়। ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড আক্রমণে।

বুধবার মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এই খবর। তবে এখানেও রয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি মৃত্যুর সংখ্যাটা এতটা কম নয়। তাদের দাবি এই সংখ্যা ২৫৪। এতটাই তফাৎ সরকারের দেওয়া তথ্য থেকে।

গ্যাস লিকের সেই ভয়াবহ ক্ষত আজও বয়ে বেরাচ্ছে সেখানকার মানুষরা। মানসিকভাবে তো বটেই, শারীরিকভাবেও সেই গ্যাসের প্রভাব সেই সময়ের মানুষদের উপর যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে নতুন প্রজন্মের উপরও। ১৯৮৪ সালের এমনই একটা দিন ছিল। বাকি সব দিনের মতই স্বাভাবিক ছন্দে দিন শুরু করেছিল ভোপালের মানুষ। ২ ডিসেম্বর রাত থেকে শুরু হয় সেই ভয়ঙ্কর গ্যাস লিগের ঘটনা। চলে ৩ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত। শুরুতে বুঝতে অসুবিধেই হয়েছিল ঠিক কী ঘটছে সকলের সঙ্গে। ক্রমশ পরিষ্কার হয় পুরো ঘটনা। ততক্ষণে মানুষের যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে।

ইউনিয়ম কার্বাড ইন্ডিয়া লিমিডের কীটনাশক তৈরির প্ল্যান্ট থেকে মিথাইল আইসোসায়ানেট লিক হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল ভোপালের বাতাসে। প্রচুর মানুষ চিকিৎসারও সুযোগ পাননি। চোখের সামনে একটু একটু করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছেন প্রিয় মানুষদের। সরকারি হিসেবে ৩৭৮৭ জন এর মৃত্যু হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন ৫৭৪,৩৬৬ জন মানুষ। আসলে গোটা শহর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।

পরবর্তী সময়ে এই সব হিসেব বার বার পরবর্তীত হয়েছে। সব শান্ত হয়ে গেলে দেখা দিয়েছে নানা রোগ। যা আজও বয়ে বেরাতে হচ্ছে। সেই সংস্থা সেই সময় নাশকতার তথ্য তুলে এনেছিল। এত মানুষের মৃত্যু আজও ন্যায় পায়নি। ইউনিয়ন কার্বাইড কর্পোরেশনের সেই সময়ের সিইও ছিলেন ওয়ারেন অ্যান্ডারসন। সংস্থা ও তাঁর বিরুদ্ধে আমেরিকায় ক্রিমিনাল কেসও করা হয়েছিল। যা পরবর্তী সময়ে ভারতীয় আদালতে স্থানান্তরিত হয়।

ভারতের আদালত ২০১০-এর জুলে সেই সময় সংস্থায় কর্মরত সাতজন ভারতীয় ও সিইও অ্যান্ডারসনকে দু’বছরের জেল ও সামান্য জরিমানা করেছিল। যদিও তাঁরা কেউই জেলে কাটাননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। আসলে এত মানুষের মৃত্যুর জন্য শাস্তি পায়নি কেউই

প্রশ্ন একটাই কে দায়ী? যার উত্তর আজও খুঁজে চলেছে ভোপালের সেই সব মানুষ।

(ইতিহাসের পাতা থেকে ফিরে দেখতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন) 

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন