বিজ্ঞাপন

অমর সিং প্রয়াত, কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি ছিলেন সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে

অমর সিং মারা গেলেন সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে। গত মার্চ মাসে সমাজবাদি পার্টির নেতা অমর সিং সেখানে গিয়েছিলেন কিডনির একটি অস্ত্রোপচারের জন্য।
বিজ্ঞাপন

অমর সিং

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অমর সিং প্রয়াত। সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে তিনি মারা গিয়েছেন। গত মার্চ মাসে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন কিডনির একটি অস্ত্রোপচারের জন্য। শনিবার সেই হাসপাতালেই মারা যান সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ অমর সিং, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪।

কিডনিজনিত সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছিলেন। সেই সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য গত মার্চ মাসে তিনি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে যান। সেখানে অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। এত দিন ধরে ওই হাসপাতালেই ভর্তি তিনি।


দেশের আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন

২০০৮ সাল। কেন্দ্রে তখন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন প্রথম ইউপিএ সরকার। আচমকাই মার্কিন পরমাণুচুক্তি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটশরিক বামেদের মতানৈক্য। সরকার থেকে তারা সমর্থম তুলে নেয়। তখন সমাজবাদী পার্টি ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে কংগ্রেসকে সমর্থন না করলে সরকার পড়ে যেত। অমর সিং সেই নেতা, মূলত যাঁর উদ্যোগে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের এই মধুচন্দ্রিমা হয়েছিল।

কিন্তু সেই সমাজবাদী পার্টি থেকে বহিষ্কৃত করা হয় অমর সিংহকে। সেটা ২০১০ সাল। একা অমরকে নয়, তাঁর সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয় অভিনেত্রী সাংসদ জয়াপ্রদাকেও। দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য ছিল সেই বহিষ্কার। কিন্তু দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরেও অমর সিং কিন্তু সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মুলয়ম সিং যাদব সম্পর্কে কোনও খারাপ মন্তব্য করেননি সেই সময়। বরং বলেছিলেন, ‘‘ওঁর আশীর্বাদ রয়েছে আমার সঙ্গে। আমাকে উনি সব সময় স্বাধীনতা দিয়েছেন।’’

অমর সিং এবং অমিতাভ বচ্চন একটা সময়ে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। অমিতাভ-জায়া জয়া বচ্চন সম্পর্কে প্রকাশ্যেই খারাপ মন্তব্য করেন অমর। জয়া তখন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অমর সিং একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি অমিতাভ বচ্চন এবং তাঁর পরিবার সম্পর্কে কারাপ মন্তব্য করার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তার আগে যদিও অমরের বাবার মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জানিয়েছিলেন অমিতাভ। ওই ভিডও প্রকাশ তার ঠিক পরের ঘটনা।

অমর সিং প্রথম বার নির্বাজিত হয়ে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। ২০১০-এ সমাজবাদী পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তিনি ফের রাজ্যসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে যান ২০১৬ সালে, সেটাও সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on August 1, 2020 6:29 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন