বিজ্ঞাপন

অর্ণব গোস্বামী তালোজা জেলে, ফোন ব্যবহারের অভিযোগে জায়গা বদল

অর্ণব গোস্বামী (Arnab Goswami) কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে পৌঁছে গেলেন তালোজা জেলে। রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন-চিফের বিরুদ্ধে ফোন ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অর্ণব গোস্বামী কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে পৌঁছে গেলেন তালোজা জেলে। বদল করতে বাধ্য হল রায়গড় পুলিশ। রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন-চিফকে রবিবার  সকালে পাঠানো হল তালোজা জেলে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, জেলবন্দিদের জন্য তৈরি করা কোয়রান্টিন সেন্টারে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকার সময় অর্ণব গোস্বামী ফোন ব্যবহার করেছেন। এই কোয়রান্টিন সেন্টারটি রয়েছে আলিবাগের মিউনিসিপ্যাল স্কুলে।

ইন্টিরিয়র ডিজাইনার ও তাঁর মায়ের মৃত্যুর জন্য যে তিন জনকে দায়ী করা হয়েছে তার মধ্যে একজন অর্ণব গোস্বামী।

রায়গড় ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তকারী অফিসার জামিল শেখ বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে আমরা জানতে পারি অর্ণব গোস্বামী সোশ্যাল মিডিয়ায় সচল রয়েছে, কারও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। বুধবার যখন তাঁকে তাঁর ওরলির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তখনই তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘এই মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে আমি আলিবাগ জেলের সুপারকে লিখিতভাবে তদন্ত করতে বলি কী ভাবে তিনি ফোন পেলেন কোয়রান্টিন সেন্টারে। তার পরই আমরা তাঁকে তালোজা জেলে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিই।’’

তাঁকে তালোজা জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ভ্যানের ভিতর থেকেই তাঁকে চিৎকার করতে শোনা যায়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায় শনিবার রাতে তাঁর উপর অত্যাচার চালিয়েছেন আলিবাগের জেলর। এবং তাঁকে জোর করে তালোজা জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘‘আমার জীবন সংশয়ে রয়েছে, দয়া করে আদালতকে বলুন আমাকে সাহায্য করতে। আমি যখন আমার আইনজীবির সঙ্গে কথা বলতে চাই তখন জেলর আমার উপর অত্যাচার চালায়।’’

সোমবার অর্ণব গোস্বামীর অন্তবর্তীকালিন জামিনের আবেদনের সিদ্ধান্তের কথা দুপুর তিনটের সময় জানাবে বম্বে হাইকোর্ট।

২০১৮-র মে-তে নিজের মাকে খুন করে আত্মহত্যা করেন ৫৩ বছর বয়সি অন্বয় নাইক। তিনি পেশায় ইন্টিরিয়র ডিজাইনার ছিলেন। নিজের সুইসাইড নোটে অন্বয় লিখেছিলেন, তিনটি সংস্থা থেকে বকেয়া টাকা না পেয়ে চরম পথ বেছে নিচ্ছেন তিনি ও তাঁর মা। এই তিন সংস্থার মধ্যে একটি রিপাবলিক টিভি। ৮৩ লক্ষ টাকা বকেয়া রেখে দেওয়ার অভিযোগ ওই সংস্থার বিরুদ্ধে।

ওই ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু হয়। ২০১৯-এর এপ্রিলে সেই মামলা প্রমাণের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এ বছরের মে মাসে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে নতুন করে তদন্তের অনুরোধ করেন অন্বয়ের কন্যা। তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিআইডি। সেই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয় অর্ণব গোস্বামীকে।

(দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on November 8, 2020 10:30 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন