বিজ্ঞাপন

অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের অসমের প্ল্যান্টে বিধ্বংসী আগুন, মৃত দুই

অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড –এর অসমের প্ল্যান্টে এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। মঙ্গলবারই প্রথম আগুন দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন বিধ্বংসী রূপ নেয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড–এর অসমের প্ল্যান্টে এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। মঙ্গলবারই প্রথম আগুন দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন বিধ্বংসী রূপ নেয়। সে দিন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সংস্থার দুই কর্মী ৫৫ বছরের তেকেশ্বর গোহেইন ও ৩৫ বছরের দূর্লভ গোগোই। বুধবার উদ্ধার হয় তাঁদের নিথর দেহ। দূর্লভ গোগোই ফুটবল খেলার জন্যই অয়েল ইন্ডিয়ায় চাকরী পেয়েছিলেন। অসমের নাম করা গোলকিপার ছিলেন তিনি। নিয়মিত খেলতেন অফিসের হয়েও। অয়েল ফুটবল ক্লাবের গোলকিপারও ছিলেন তিনি।

যে তেলের কুয়োর মধ্যে আগুন লেগেছে তার পাশের পুকুর থেকে এই দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংস্থার মুখপাত্র ত্রিদিব হাজারিকা বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন অয়েল এফসির হয়ে খেলেছেন দূর্লভ। অসমের নাম করা ফুটবল দলগুলির মধ্যে একটি। তিনি নামরুপের বাসিন্দা।  গোহেইন চাবুয়ার মানুষ। দু’জনেই বিবাহিত ছিলেন।’’

ডিব্রু-সাইখোয়া ন্যাশনাল পার্কের  কাছে বাঘজান ৫ কুয়োয় মঙ্গলবার দুপুরে আগুন লেগে যাওয়ার কারণে বিস্ফোরণ শুরু হয়। আগুন লেগেছিল ১৪ দিন আগে। জানা গিয়েছে সেই য়োর পাশে যখন পরিষ্কারের কাজ চলছিল তখনই বিস্ফোরণ হতে শুরু করে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুন আসপাশের গ্রামে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। বুধবার যদিও সেই আগুনকে কুঁয়োর মধ্যেই আটকে রাখা গিয়েছে। তবে স্থানীয় গ্রামবাসীদের ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অসম সরকারের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন এবং সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে এক মাসের বেশি সময় লাগবে। পাশেই রয়েছে জঙ্গল। তাতে বাতাসে দূষন বাড়লে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বন্য প্রান ও মানুষ। স্থানীয়দের অভিয়োগ এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে আসপাশের গ্রামের বেশ কিছু ঘর পুড়ে গিয়েছে।

(দেশের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

আশঙ্কা করা হচ্ছে এখন আগুন কুয়োর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না হলে যে কোনও সময় তা বেরিয়ে আসতে পারে বড় কোনও বিস্ফোরণ হলে। কারণ তাতে নিয়মিত কারখানার তৈরি হওয়া গ্যাস মিলছে এবং আগুনকে জ্বালিয়ে রাখতে সাহায্য করছে।

আগুন নেভানোর জন্য বায়ুসেনা, সেনাবাহিনীও সাহায্য করছে এনডিআরএফকে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সবার সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। প্যারামিলিটারি ফোর্স পুরো জজায়গাকে ঘিরে রেখেছে। গত ১৪ দিন ধরে গ্যাস লিক হচ্ছিল। মঙ্গলবার যেটায় বিস্ফোরণ হয়। আগুনের লেলিহান শিখা ১০ কিলোমিচার দূর থেকে দেখা যাচ্ছে।

0
0

This post was last modified on June 10, 2020 9:21 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন