বিজ্ঞাপন

ব্যর্থ বিজেপি সরে দাঁড়াল, কর্নাটকে সরকার গড়ছে কংগ্রেস-জেডি(এস)

বিজ্ঞাপন

বিএস ইয়েদুরাপ্পার।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ব্যর্থ বিজেপি সরে দাঁড়াল, কর্নাটকে সরকার গড়ছে কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট। আস্থাভোটে যাওয়ার আগেই বিজেপির সদ্য শপথ নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা পদত্যাগ করলেন। কর্নাটকের রাজ্য রাজনীতির নাটুকে এই মোড় নাড়িয়ে দিল গোটা দেশকে। উজ্জীবিত দেখা গেল কংগ্রেস শিবিরকে।

রাজনৈতিক উত্তেজনায় রাজধানী দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তুলোধনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বারে বারেই বোঝানোর চেষ্টা করলেন, বিজেপি-র নীতি গণতন্ত্রকে আঘাত করছে। বিজেপিও রাহুলের পাল্টা দিয়েছে। দলের মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, মোদী প্রসঙ্গে রাহুলের মন্তব্য হাস্যকর এবং অসম্মানজনক।

গত বুধবার রাতে কর্নাটকের রাজ্যপাল বজুভাই বালা বিজেপির দলনেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে সরকার গঠনের ডাক দেন। যে হেতু বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৪, তাই আস্থাভোটের জন্য তাঁকে ১৫ দিনের সময় দেন রাজ্যপাল। সেই মতো বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু, কংগ্রেসের করা একটি আর্জির ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানিয়ে দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ শনিবার বিকেল চারটের মধ্যে আস্থাভোট করতে হবে।

সেই মতো শনিবার বিকেলে কর্নাটক বিধানসভায় আস্থাভোট নিয়ে অধিবেশন বসে। সেখানে কংগ্রেসর সর্বভারতীয় নেতৃত্ব হাজির ছিলেন। প্রোটেম স্পিকার হিসাবে বিজেপির এক বিধায়ককে দায়িত্ব দেওয়ায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমে ১০৩ হয়। কিন্তু, আস্থাভোট শুরু হওয়ার আগেই ইয়েদুরাপ্পা বিধানসভা দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন, তাঁর কাছে ১১২ জন বিধায়ক নেই। তিনি তা জোগাড় করতে পারেননি। এর পরেই ইয়েদুরাপ্পা নিজের ইস্তফার কতা জানান। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি রাজ্যপালের সহ্গে দেখা করে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন। তা গৃহীত হয়।

পেট্রলের দাম বাড়ল সাত বছরে সব থেকে বেশি

এর পরেই জেডি(এস) নেতা এইচডি কুমারস্বামীকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানান রাজ্যপাল বালা। আগামী সোমবার অর্থাৎ ২১ মে কংগ্রেস-জেডি(এস) জোটের হয়ে শপথ নেবেন কুমারস্বামী। পরে আস্থাভোটে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। তবে, তাতে কোনও সমস্যা হবে না। কংগ্রেসের নিজের ৭৮-এর সঙ্গে জেডি(এস)-এর রয়েছে ৩৮ জন বিধায়ক। কাজেই ২২২ আসনের বিধানসবার ম্যাজিক সংখ্যা ১১২ থেকে কয়েক জন বেশি বিধায়কই এই জোটের সঙ্গে রয়েছে। আবার আগামী ৬ মাসের মধ্যে আস্থাভোট ডাকা যাবে না। কাজেই এই ছ’মাস জোটের কোনও চিন্তা নেই।

বিজেপি তাদের বিধায়ক ভাঙিয়ে, কেনাবেচা করে নিজেদের দিকে নিতে পারে বলে আগে থেকেই আশঙ্কায় ছিল কংগ্রেস-জেডি(এস)। সেই জন্য নিজেদের বিধায়কদের বেঙ্গালুরুর পাঁচতারা হোটেলে রেখে দিয়েছিল তারা। তার মধ্যেও ঘুষের টোপ আসে বলে অভিযোগ। যদিও শেষমে? তা কোনও কাজেই আসেনি। কারণ, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আবেগী ভাষণে ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, তাঁরা বিধায়ক জোগাড় করতে ব্যর্থ। তাই পদত্যাগ।

তবে সূত্রের খবর, একে তো বিধায়ক জোগাড় করতে পারেনি বিজেপি, তার উপর আস্থাভোটে হেরে আর মুখ পোড়াতে চায়নি তারা। সে কারণেই পদত্যাগ করে একটা মুখ রক্ষা করতে চেয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা

কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

0
0

This post was last modified on May 20, 2018 12:40 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন