বিজ্ঞাপন

কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক ফের বুধবার, সমাধান সূত্র মিলল না আজও

কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক ফের বুধবার হবে। শনিবারের বৈঠক শেষেও কোনও সমাধান সূত্র মিলল না। ফলে ষষ্ঠ দফার বৈঠকে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আগামী বুধবার বসবে কেন্দ্র।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক ফের বুধবার হবে। শনিবারের বৈঠক শেষেও কোনও সমাধান সূত্র মিলল না। ফলে ষষ্ঠ দফার বৈঠকে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আগামী বুধবার বসবে কেন্দ্র। আন্দোলনকারী কৃষকেরা সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন।

বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের দাবিদাওয়া সংক্রান্ত কোনও কিছুই শনিবারের বৈঠকে সমাধানের মুখ দেখেনি। এ দিনের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভায় আলোচনা করে আন্দোলকারীদের সামনে নতুন প্রস্তাব রাখা হবে। নতুন আইন প্রত্যাহার করে কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে যদিও তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। সাম্প্রতিক কালে এত বড় কৃষক আন্দোলন দেশের কোথাও হয়নি। সেই আন্দোলনের চাপে কেন্দ্র নতুন কৃষি আইনের কিছু অংশে সংশোধনী আনতে চেয়েছিল। কিন্তু দিল্লি ঘিরে রাখা কৃষকেরা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।


দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন

এ দিন প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়। সেখানে নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন কৃষকেরা। কেন্দ্রের কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছেন তাঁরা। সমাধান সূত্রে কেন্দ্রকেই খোঁজার ভার দেওয়া হয়েছে। কোনও সমাধান সূত্র না মেটা পর্যন্থ আন্দোলন থেকে সরেও যে তাঁরা আসছেন না, সে কথাও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা শুধু জানতে চান, ‘‘হ্যাঁ অথবা না?’’ কেন্দ্র নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করচে কি না— এই ছোট্ট প্রশ্নটুকুর দিকেই মুখিয়ে এখন গোটা আন্দোলন। কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক ফের বুধবার, এই পরিস্থিতিতেই।

বৈঠকের পর এ দিন তোমর বলেন, ‘‘আজ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা একটা সুষ্ঠু সমাধান চাইছি। কিন্তু আজকের বৈঠকে তেমন কিছু হল না। আগামী ৯ ডিসেম্বর আর একটি বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আমরা কৃষকদের বলেছি, সরকার সব ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে চায়। আমরা সমাধান সূত্র বার করার চেষ্টা করব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি কৃষকনেতাদের কাছ থেকে কোনও ধরনের সমাধান সূত্র পেতাম, তা হলে আমাদের কাছে বিষয়টি অনেক সহজ হত।’’

দিল্লিকে ঘিরে ধরতে হাজার হাজার কৃষক বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে রয়েছেন। তোমর কৃষক নেতাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, ওই সব দলে থাকা বয়স্ক এবং বাচ্চাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হোক। কারণ একে কোভিড পরিস্তিতি, তার উপর বাড়তে থাকা ঠান্ডা— সব মিলিয়ে তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়াটাই শ্রেয় বলে মনে করেন তোমর।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on December 6, 2020 2:23 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন