জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বোগিবিল সেতু , দেশের দীর্ঘতম রেল ব্রিজের উদ্বোধন হয়ে যাবে মঙ্গলবার। কাজ শুরু হওয়ার ১৬ বছর পর শুরু হতে চলেছে এই সেতু। ১৯৯৭ সালে এই ব্রিজের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া। সে দিক থেকে দেখতে গেলে ২১ বছর পর যাতায়াত শুরু হবে। কাজ শুরুর উদ্ধোধন হয়েছিল ২০০২ সালে। সেই সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। সেই সময় কাজ শুরুর সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিলেন তিনি। আর সেই বোগিবিল সেতু উদ্বোধন হচ্ছে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে।
অসমে তৈরি হয়েছে ৪.৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু। নাম বোগিবিল সেতু। এই ব্রীজ উদ্বোধনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন তিনসুকিয়া-নাহারলাগুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসেরও। যা সপ্তাহে পাঁচ দিন চলবে।
১৪ কোচের চেয়ার-কার এই ট্রেন তিনসুকিয়া থেকে দুপুরে ছাড়বে এবং পরদিন সকালে নাহারলাগুনে পৌঁছবে। নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের মুখপাত্র নৃপেণ ভট্টাচার্য এ কথা জানিয়েছেন। এই রেল ব্রিজের মাধ্যমে অসম ও অরুনাচলের মধ্যে রেল যোগাযোগে আরও গতি বাড়বে। ডবল ডেকার এই রেল ব্রীজ জন্য সময়ও অনেকটা কম লাগবে অসম থেকে অরুনাচলে পৌঁছতে।
ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর তৈরি হয়েছে এই ব্রিজ। অসমের তিনসুকিয়া থেকে অরুনাচল প্রদেশের নাহরলাগুনে পৌঁছতে ট্রেনের সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা। নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের সিপিআরও জানিয়েছেন, বহ্মপুত্র নদীর উপর ব্রীজ তৈরি করাটা একটা বড় লড়াই ছিল। এখানে বর্ষায় অত্যধিক বৃষ্টি হয়। তাতে বার বার কাজ থামিয়ে দিতে হয়েছে।
ভারতীয় রেল আর তার ক্ষতির খতিয়ান
ডবল ডেকার এই ব্রীজের নিচের অংশে রয়েছে দুটো লাইন। এবং উপরে রয়েছে তিন লেনের রাস্তা। যাতে ভারী সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক যাতায়াত করতে পারে। এটাও ছিল বড় সমস্যা এই পথের। অতীতে সীমান্তে অরুনাচল সীমান্তে ট্যাঙ্ক পাঠানোর প্রয়োজন হলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি রাস্তার অভাবে। এই ভারী ট্যাঙ্ক বহন করার ক্ষমা ছিল না কোনও ব্রিজের।
একটা ব্রীজ দুটো সমস্যার সমাধান করে দিল এক সঙ্গে। এই ব্রিজের সঙ্গে যে শুধু অসম-অরুনাচলের মধ্যের দূরত্ব কমেছে তা নয়। দূরত্ব কমেছে অসমের দুই প্রান্তের। ডিব্রুগড় থেকে ধেমাজি জেলার মধ্যের দূরত্ব কমিয়ে আনা হয়েছে ৫০০ কিলোমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটারে।
এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে ৫৯২০ কোটি।
This post was last modified on December 23, 2018 10:53 pm