বিজ্ঞাপন

৫ আইপিএস অফিসারের পদক কাড়তে পারে কেন্দ্র, মমতার ধর্নায় হাজিরার ‘শাস্তি’

৫ আইপিএস অফিসারের পদক কাড়তে পারে কেন্দ্র, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে। মমতায় ধর্ণায় যোগ দেওয়ার শাস্তি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ৫ আইপিএস অফিসারের পদক কাড়তে পারে কেন্দ্র, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে রবিবার রাত থেকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই রাতে সেই ধর্নাস্থলে রাজীব কুমারের সঙ্গে মমতার পাশে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল পাঁচ আইপিএস কর্তাকে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি) এবং রাজভবনের পাঠানো রিপোর্ট থেকে সেই তথ্য জানতে পেরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।

ওই পাঁচ পুলিশ কর্তা হলেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, অতিরিক্ত ডিজি (আইন শৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা, অতিরিক্ত ডিজি বিনীত গোয়েল, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংহ এবং কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুপ্রতীম সরকার। এর আগে গত মঙ্গলবার একই কারণ দেখিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এ বার এই পাঁচ আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই আইপিএস অফিসারদের উপর মন্ত্রক এতটাই অসন্তুষ্ট যে তাঁদের মেডেলও কেড়ে নেওয়া হতে পারে।

মুখ্যসচিবকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে, সেখানে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং সার্ভিস কন্ডাক্ট রুল ভাঙার অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুলের নির্দেশিকা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছিল, সর্বভারতীয় সার্ভিসের এক জন সদস্য কখনওই কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন না।

১৯৬৯ সালের অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুলের নির্দেশিকার ৩ (১), ৫ (১) এবং ৭ নম্বর ধারায় যা বলা হয়েছে, রাজীব কুমার তা ভেঙেছেন বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছিল। নির্দেশিকা অনুযায়ী, সর্বভারতীয় চাকরির প্রত্যেক সদস্য নিজের ডিউটির প্রতি সর্বদা দায়বদ্ধ থাকবেন। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেন না। যুক্ত থাকতে পারবেন না রাজনৈতিক কোনও কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সে দিন মমতা বলেছিলেন, “রাজীব ধর্নায় ছিলেন না। আমার নিরাপত্তার জন্য ছিলেন।”

যদিও এ দিন এই বিষয়ে নবান্নের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

(দেশের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

0
0

This post was last modified on February 7, 2019 10:53 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন