বিজ্ঞাপন

কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টার, খতম একাধিক জঙ্গিসহ দুই হিজবুল কমান্ডার

কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টার-এ খতম হিজবুলের দুই শীর্ষ পদে থাকা কমান্ডার। শুক্রবার সকালে কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু করে সেনা ও স্থানীয় পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টার-এ খতম হিজবুলের দুই শীর্ষ পদে থাকা কমান্ডার। শুক্রবার সকালে কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু করে সেনা ও স্থানীয় পুলিশ। পাল্টা আক্রমণ চলায় জঙ্গিরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। সেন জঙ্গি গু‌লির লড়াইয়ে হিজবুলের দুই প্রভাবশালী জঙ্গি কমান্ডারকে নিকেশ করার খবর পাওয়া গিয়েছে। খতম করা হয়েছে হিজবুলেরই এক জেহাদিকেও। কুলগামে গুলির লড়াই দীর্ঘক্ষণধরে চলে। বেশ কয়েকমাস ধরে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিশাল কোনও ঘটনা না ঘটলেও মাঝে মাঝেই সাধারণের উপর চড়াও হচ্ছে জঙ্গিরা। স্থানীয় ব্যবসায়ী, ভিন রাজ্য থেকে আসা সবজি বিক্রেতাসহ কাশ্মীরি পুরোহিতদের উপরও হামলা চালিয়েছে তারা। তার জেড়েই প্রতিদিনই চলছে কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি।

কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল পুলিশ। খবর আসে গোপন ডেরায় লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা।  সেই খবরের উপর ভিত্তি করেই কুলগামের চাওয়ালগামে অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। শুরু হয় গুলির লড়াই। সেখানেই বাহিনীর গুলিতে মারা যায় দুই জঙ্গি। যদিও সেই এলাকায় আর অনেক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। কারণ পাল্টা গুলি চলা বন্ধ হয়নি। এখনও সেখানে চলছে গুলির লড়াই।

এএনআই-এর খবর অনুযায়ী কুলগামে যে জঙ্গি বাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছে তারা হল হিজবুল মুজাহিদিনের শিরাজ মোলভি এবং ইয়াওয়ার ভাট। শিরাজের মৃত্যু বাহিনীর জন্য বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১৬ থেকে সাধারণ যুবকদের জঙ্গিতে পরিণত করার দায়িত্বে ছিল সে। সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অনেক সাধারণ মানুষকে মারার অভিযোগও ছিল। এই মুহূর্তে সে কাজ করছিল কুলগামে হিজবুলের কমান্ডার হিসেবে। মনে করা হচ্ছে তার মৃত্যুতে এলাকায় হিজবুলের সংগঠন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে।

কাশ্মীর পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার বলেন, শিরাজের কাজ ছিল এই এলাকার যুবকদের হিজবুলের সঙ্গে যুক্ত করা। অতীতে বহু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যেও ছিল সে। তাঁকে মারতে পারা কাশ্মীরের জন্য বড় সাফল্য। ইতিমধ্যেই জঙ্গিদের ডেরা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই বর্ডার সংলগ্ন এলাকায় অনুপ্রবেশকারীদের আনাগোনার ঘটনা ঘটছে। শীত পুরোপুরি পড়ার আগে জঙ্গিদের কাশ্মীরে স্থায়ীভাবে বসাতে চাইছে সংগঠনগুলো। যদিও তা ধাক্কা খেল এদিনের অভিযানে। আর কিছুদিনের মধ্যেই বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে যাবে উপত্যকা। সেই সময় সাধারণত ঘর গোছায় জঙ্গিরা। যদিও সেই পরিস্থিতি আসার আগেই তা নিকেশ করতে প্রস্তুত নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on November 12, 2021 12:09 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন