জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কেরলে বড় বিমান দুর্ঘটনা মনে করিয়ে দিল ১০ বছর আগের ম্যাঙ্গালোর বিমান দুর্ঘটনার স্মৃতি। প্রথমে মনে করা হয়েছিল বড় কোনও ক্ষতি হয়নি কিন্তু সময় যত এগোতে থাকল ততই মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে। এই দুঘর্টনায় মৃত্যু হয়েছে দুই বিমান চালকের। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রথমে শুধু চালকের মৃত্যুর কথা শোনা গেলেও পরে সেটা চার এবং এখন তা ১৮-য় পৌঁছে গিয়েছে। আহত ১২১ জন। ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুবাই থেকে ভারতীয়দের নিয়ে ফিরছিল বন্দে ভারত প্রকল্পের অধিনে কাজ করা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান আইএক্স ১৩৩৪।
কোঝিকোড় বিমান বন্দরে নামার সময় রাত ৭.৪০ নাগাদ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিমানটি। ক্র্যাশ ল্যান্ডিংয়ের কারণে কয়েক টুকরো হয়ে যায় বিমানের। বিমানটিতে যাত্রী এবং ক্রু মেম্বারদের নিয়ে ছিলেন ১৯১ জন যাত্রী।
গত কয়েকদিন ধরেই কেরলে প্রবল বৃষ্টি চলছে। অনেক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির কারণেই রানওয়েও পিচ্ছিল ছিল। ল্যান্ড করার সময় পিছলে যায় বিমানটি। ছিটকে যায় রানওয়ে থেকে। আর সেই কারণেই বেশ কয়েকটি টুকরো হয়ে যায় বিমানের। বিমান চালাচ্ছিলেন বায়ুসেনার প্রাক্তন ক্যাপ্টেন দীপক সাঠে।
কেরলে বড় বিমান দুর্ঘটনা-র ছবিতে দেখা যাচ্ছে দুটো টুকরো হয়ে গিয়েছে বিমানের। বিমানটি রান ওয়েতে না থেমে সোজা গিয়ে পড়ে রানওয়ের বাইরের খাদে। বিমানের সামনের অংশ দু’টুকরো হয়ে যায়। বিমানে থাকা ১৯১ জনের মধ্যে ১৭৪ জন যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া ছিল ১০ জন শিশু। দু’জন বিমান চালক ও পাঁচজন কেবিন ক্রু।
যা খবর যাত্রীদের সবাইকেই উদ্ধার করা গিয়েছে। সকলেই কম বেশি চোট পেয়েছেন। ১৫ জনের চোট গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। সবাইকেই সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। মনে করা হচ্ছে সবাইকেই উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
ফ্লাইট র্যাডার ২৪-এর তথ্য অনুযায়ী বিমানটি অবতরণের আগে বেশ কয়েকবার বিমানবন্দের উপর দিয়ে ঘোর। দু’বার ল্যান্ড করার চেষ্টাও করে ব্যর্থ হয় তার আগে।
(দেশের আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
This post was last modified on August 8, 2020 12:19 pm