বিজ্ঞাপন

উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ বিল পাশ হয়ে গেল লোকসভায়, রাজ্যসভায় পেশ হবে কাল

উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ বিল পাশ হয়ে গেল লোকসভায়। মঙ্গলবার রাতে পাশ হয়ে গেল সংবিধান সংশোধনী বিলে। উচ্চবর্ণের পিছিয়ে পড়া অংশের সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে ওই বিলে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ বিল পাশ হয়ে গেল লোকসভায়। মঙ্গলবার রাতে বিপুল ভোটে পাশ হয়ে গেল সংবিধানের ১২৪তম সংশোধনী বিল। উচ্চবর্ণের পিছিয়ে পড়া অংশের সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে ওই বিলে। ওই বিলের পক্ষে পড়েছে ৩২৩ টি ভোট। বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র তিনটি।

সোমবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চবর্ণের পিছিয়ে পড়াদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণির নতুন সংজ্ঞাও নির্ধারিত করেছিল মোদী সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল বার্ষিক ৮ লাখ টাকা আয় বা হাজার স্কয়ার ফুটের নীচে ফ্ল্যাট থাকলে তিনি পিছিয়ে পড়া হিসাবে গণ্য হবেন।

এ দিন বিলটি লোকসভায় উঠলে বিরোধীরা যে খুব একটা বিরোধিতা করেছেন তেমনটা নয়। কারণ, এমন একটা বিষয়ে কোনও বিরোধী দলের পক্ষেই বিরোধিতা করা সম্ভব নয়। উচ্চবর্ণের মধ্যে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে গুজরাত-রাজস্থান-মহারাষ্ট্রে পাতিদার, জাঠ, গুজ্জর, মরাঠারা আন্দোলন করেছেন। তবে বিরোধীদের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চমক দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ওই বিল এনেছে সরকার। অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এমআইএম) ওই বিলের বিরোধিতা করে সংবিধান নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছে। বিস পাশের আগেই এডিএমকে লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করে।

চলতি শীত অধিবেশন শেষ হচ্ছে বুধবার। চলতি সরকারের আমলে এর পরে সংসদের আর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন হবে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তিন রাজ্যে লোকসভা ভোটের ফল কিছুটা খারাপ হওয়ার পরে বিজেপি বুঝেছে, উচ্চবর্ণের ভোটারদের এক বড় অংশ মুখ ঘুরিয়েছে তাদের দিক থেকে। সেই অংশটাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই এই বিল আনা হয়েছে। শীত অধিবেশনের একেবারে শেষ দিকে ওই বিল আনা হল। রাজ্যসভার অধিবেশন এক দিন বাড়ানো হয়েছে। সেখানে বুধবার ওই বিল পেশ করা হবে।

সোমবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চবর্ণের পিছিয়ে পড়াদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণির নতুন সংজ্ঞাও নির্ধারিত করেছিল মোদী সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল বার্ষিক ৮ লাখ টাকা আয় বা হাজার স্কয়ার ফুটের নীচে ফ্ল্যাট থাকলে তিনি পিছিয়ে পড়া হিসাবে গণ্য হবেন।

অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এমআইএম) ওই বিলের বিরোধিতা করে সংবিধান নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছে। বিস পাশের আগেই এডিএমকে লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করে।

(দেশের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে)

0
0

This post was last modified on January 9, 2019 2:15 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন