বিজ্ঞাপন

দিল্লিতে মমতা কার্যত রণংদেহী, মহাজোটের পক্ষেই বার্তা দিলেন ফের

দিল্লিতে মমতা কার্যত রণংদেহী ভঙ্গিমাতেই দিন কাটালেন। বুধবার দুপুরে বঙ্গভবন থেকে জিটিএ ভবনের উদ্বোধন করে তিনি সংসদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন

দিল্লিতে মমতা

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দিল্লিতে মমতা কার্যত রণংদেহী ভঙ্গিমাতেই দিন কাটালেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছেছিলেন তিনি। বুধবার দুপুরেই বঙ্গভবন থেকে জিটিএ ভবনের উদ্বোধন করে তিনি সংসদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু, তাল কাটল সংসদে পৌঁছে।

এ দিন লোকসভায় বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী রাজ্যের চিটফান্ড কাণ্ড নিয়ে বলার সময় মমতা এবং তাঁর দল তৃণমূল নিয়ে কড়া ভাষণ দেন। লোকসভায় এ নিয়ে অধীরের সঙ্গে তৃণমূল সাংসদদের বাদানুবাদ হয়। সংসেদ পৌঁছে এ কথা জানতে পারেন মমতা। এর পর সেন্ট্রাল হলের কাছে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। সনিয়া তাঁকে জানান, আমরা তো রাজনৈতিক বন্ধু। কিন্তু তাতে চিঁড়ে বিশেষ ভেজেনি। মমতা সনিয়া উল্টে শুনিয়ে দেন, ‘আমিও মনে রাখব!’

এর পর নয়াদিল্লির যন্তরমন্তরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডাকা বিরোধীদের ধর্না মঞ্চে যান মমতা। সেখানে বলেন, ‘‘আজই ছিল সংসদের শেষ দিন। ফলে এই সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র এক মাসের মধ্যেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাবে। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। লড়াই করতে হবে।’’

পাশাপাশি বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক মাথায় রেখেও জোটের বার্তা দিয়ে মমতা এ দিন বলেন, ‘‘রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের লড়াই থাকতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রে আমরা সবাই একসঙ্গে লড়ব।’’ অর্থাৎ বাংলায় যা হয় হোক, দিল্লিতে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ হয়েই লড়বে। ওই ধর্না মঞ্চে কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের উপ দলনেতা আনন্দ শর্মা এবং সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

এ দিন যন্তর মন্তরে বক্তৃতায় মমতা বলেন, ‘‘আমি বার বার বলেছি, যার যেখানে শক্তি, সে সেখানে মোদী তথা বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়ুক। কংগ্রেস রাজস্থানে শক্তিশালী, কংগ্রেস রাজস্থানে লড়ুক, মধ্যপ্রদেশে লড়ুক, ছত্তীসগড়ে লড়ুক, উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী-অখিলেশ লড়ুন, অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নায়ডু লড়ুন। বাংলায় আমরা লড়ব বিজেপি-র বিরুদ্ধে।’’

মমতা এ দিন আরও বলেন, ‘‘বাংলায় কংগ্রেস ও সিপিএম খামোখাই লড়ছে। তবে এতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএমের সঙ্গে আমার লড়াই করার অভ্যাস রয়েছে। বাংলায় তো একসঙ্গে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম লড়াই করে। আমি ওদের সঙ্গে যদি সমঝোতাও করি তা হলেও তৃণমূলের ভোট ওদের দিকে ট্রান্সফার হবে না। ওরা যত ওখানে লড়বে ততই তৃণমূলের ভাল। কারণ, বাংলায় ৪২ টি আসনের ৪২টিতেই তৃণমূল জিতবে।’’

মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার যে উনিশের ভোটে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট করবে না তৃণমূল। সব ক’টি আসনেই প্রার্থী দেবে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে এখানে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on February 14, 2019 2:42 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন